ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন দিনেও নিখোঁজ কয়েদির সন্ধান মেলেনি!

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০
  • 55

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক পালানোর তিনদিন পরও সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় প্রধান কারারক্ষীসহ ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটি সুত্রে জানিয়েছে, কারাগারের দেয়ালে থাকা আগাছা পরিষ্কার ও রং করার কাজে ব্যবহৃত মই দিয়ে গত বৃহস্পতিবার যে কোনো সময় পালিয়ে যেতে পারেন আবু বকর। সেটা মাথায় রেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে নিখোঁজ কয়েদি বকর সিদ্দিকের সন্ধান করা হচ্ছে। আমরা পুলিশকে বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। পুলিশ তার খোজে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান মেলেনি।

জিএমপির কোনাবাড়ি থানার ওসি এমদাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কারাগারের জেলার বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল বিকেলে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক আবু বকরের সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে। তার বাড়িসহ আত্মীয়-স্বজনদের একাধিক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপের সময় বন্দীদের গণনাকালে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর হতে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ মে কয়েদি আবু বকর কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরদিন কারগারের ৪০ নং সেল এলাকার সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালের ১৪ জুন হতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ কারাগারে বন্দি ছিলেন। শ্যামনগর থানার একটি হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুরে স্থানান্তর করা হয়।

২০০৬ সালের ৬ আগস্ট আদালত আবু বকরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের আদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামির আপিলের প্রেক্ষিতে আদালত ২০১২ সালের ২৭ জুলাই ওই সাজা সংশোধন করে তাকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

বিজনেস আওয়ার/০৯ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

তিন দিনেও নিখোঁজ কয়েদির সন্ধান মেলেনি!

পোস্ট হয়েছে : ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক পালানোর তিনদিন পরও সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় প্রধান কারারক্ষীসহ ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটি সুত্রে জানিয়েছে, কারাগারের দেয়ালে থাকা আগাছা পরিষ্কার ও রং করার কাজে ব্যবহৃত মই দিয়ে গত বৃহস্পতিবার যে কোনো সময় পালিয়ে যেতে পারেন আবু বকর। সেটা মাথায় রেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে নিখোঁজ কয়েদি বকর সিদ্দিকের সন্ধান করা হচ্ছে। আমরা পুলিশকে বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। পুলিশ তার খোজে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান মেলেনি।

জিএমপির কোনাবাড়ি থানার ওসি এমদাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কারাগারের জেলার বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল বিকেলে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক আবু বকরের সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে। তার বাড়িসহ আত্মীয়-স্বজনদের একাধিক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপের সময় বন্দীদের গণনাকালে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর হতে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ মে কয়েদি আবু বকর কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরদিন কারগারের ৪০ নং সেল এলাকার সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালের ১৪ জুন হতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ কারাগারে বন্দি ছিলেন। শ্যামনগর থানার একটি হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুরে স্থানান্তর করা হয়।

২০০৬ সালের ৬ আগস্ট আদালত আবু বকরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের আদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামির আপিলের প্রেক্ষিতে আদালত ২০১২ সালের ২৭ জুলাই ওই সাজা সংশোধন করে তাকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

বিজনেস আওয়ার/০৯ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: