ঢাকা , সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে : প্রধানমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি বরং আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় আসে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চেয়েছিলেন তারা কারা? আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে। যারা জনগণের ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসেননি, নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রশ্নে এত গুরুত্ব দেওয়ার কী আছে?

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ নির্বাচনে নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দিতে পারবে। এটি নিয়ে বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমার মনে হয়, তারা (বিএনপি) চিন্তিত যে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে এই নিয়ে। কারণ, তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাচ্ছে না। অন্যথায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে এনেছে, যা সামরিক শাসন ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে লাইনচ্যুত হয়েছিল।

নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি, এটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত। তবে আমার মনে হয়, তারা জানতো যে, সঠিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ তারা হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে অভ্যস্ত। এটাই বাস্তবতা। যদি কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারায় তাহলে কার কি করার আছে?

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইভিএম একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ব্যবহৃত হয়। আমরা দেখেছি যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে দ্রুত নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া যায় এবং মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারে।

দেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা যাতে দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেজন্য বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের মধ্যে যাদের এনআইডি নেই তারা পাসপোর্ট দিয়ে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করা হয়েছে।

আপনি ইউএনজিএ থেকে কী নিয়ে দেশে ফিরছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বন্ধুত্ব, আমি বাংলাদেশের জন্য বন্ধুত্ব নিয়ে দেশে ফিরছি এবং বাংলাদেশ যে উন্নয়নের বিস্ময় সে কথাটাই সবাই বলার চেষ্টা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ বা সংঘর্ষ চাই না। আমি মনে করি, সবচেয়ে বড় কথা আমি এই বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি এবং সবাই বাংলাদেশ ও আমাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। সূত্র : বাসস

বিজনেস আওয়ার/২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আ.লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে : প্রধানমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি বরং আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় আসে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চেয়েছিলেন তারা কারা? আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে। যারা জনগণের ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসেননি, নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রশ্নে এত গুরুত্ব দেওয়ার কী আছে?

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ নির্বাচনে নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দিতে পারবে। এটি নিয়ে বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমার মনে হয়, তারা (বিএনপি) চিন্তিত যে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে এই নিয়ে। কারণ, তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাচ্ছে না। অন্যথায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে এনেছে, যা সামরিক শাসন ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে লাইনচ্যুত হয়েছিল।

নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি, এটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত। তবে আমার মনে হয়, তারা জানতো যে, সঠিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ তারা হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে অভ্যস্ত। এটাই বাস্তবতা। যদি কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারায় তাহলে কার কি করার আছে?

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইভিএম একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ব্যবহৃত হয়। আমরা দেখেছি যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে দ্রুত নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া যায় এবং মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারে।

দেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা যাতে দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেজন্য বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের মধ্যে যাদের এনআইডি নেই তারা পাসপোর্ট দিয়ে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করা হয়েছে।

আপনি ইউএনজিএ থেকে কী নিয়ে দেশে ফিরছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বন্ধুত্ব, আমি বাংলাদেশের জন্য বন্ধুত্ব নিয়ে দেশে ফিরছি এবং বাংলাদেশ যে উন্নয়নের বিস্ময় সে কথাটাই সবাই বলার চেষ্টা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ বা সংঘর্ষ চাই না। আমি মনে করি, সবচেয়ে বড় কথা আমি এই বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি এবং সবাই বাংলাদেশ ও আমাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। সূত্র : বাসস

বিজনেস আওয়ার/২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: