ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাদীস: দৈনিক একশতবার তাসবীহ পাঠের ফযীলত সমূহ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 115

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ইমাম মুসলিম তার গ্রন্থে সংকলন করেছেন, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এর কাছে ছিলাম। তখন তিনি বললেন, তোমাদের কেউ কি প্রতিদিন এক হাজার নেকী হাছিল করতে অক্ষম?

তখন তার একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করল, কিভাবে আমাদের কারো জন্য এক হাজার নেকী লেখা হতে পারে?

রাসুল (সা.) বললেন, একশবার তাসবীহ পড়লে (সুবহানাল্লাহ্‌বললে) তার জন্য এক হাজার নেকী লেখা হবে কিংবা তার এক হাজার গুনাহ মাফ হবে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ২৬৯৮]

মোল্লা আলী ক্বারী (রহ.) “মিরক্বাতুল মাফাতীহ” গ্রন্থে বলেন, “যেহেতু এক নেকীর বদলে দশ নেকী দেওয়া হয়। কুরআনের আয়াত “যে ব্যক্তি একটি নেকী নিয়ে আসবে সে এর দশগুণ পাবে” [সূরা আনআম, আয়াত: ১৬০] এবং “আল্লাহ্‌ যার জন্য ইচ্ছা বৃদ্ধি করবেন” [সূরা বাক্বারা, আয়াত: ২৬১]-এ প্রতিশ্রুত বৃদ্ধির এটি সর্বনিম্ন একক।

হারাম এলাকার এক নেকী এক লক্ষ নেকীর সমান। কিংবা তার এক হাজার গুনাহ মাফ হবে” অর্থাৎ সগিরা গুনাহ হোক কিংবা কবিরা গুনাহ হোক; সেটা আল্লাহ্‌র ইচ্ছাধীন।”

উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে যে ব্যক্তি একশ এর চেয়ে বেশি পরিমাণ তাসবীহ পড়বে সে তার বৃদ্ধির জন্য বর্ধিত হারে সওয়াব পাবে। যেহেতু এক নেকীতে দশ নেকী দেওয়া হবে। সুতরাং যে ব্যক্তি এক হাজার বার তাসবীহ পড়বে সে ব্যক্তি দশ হাজার নেকী পাবে। এভাবে বৃদ্ধি করা হবে। আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ প্রশস্ত।

এ হাদীসের কাছাকাছি অপর একটি হাদীস হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দুআটি দিনে একশত বার বলবে­এটা তার জন্য দশজন দাসমুক্তির অনুরূপ হবে, তার জন্য একশত সওয়াব লেখা হবে, তার একশটি গুনাহ মুছে দেওয়া হবে, সেই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এটা তার জন্য শয়তান থেকে সুরক্ষা হবে। সে যে সওয়াব পাবে আর কেউ তার চেয়ে উত্তম সওয়াব পাবে না; তবে যে ব্যক্তি তার চেয়ে বেশি আমল করবে সে ব্যক্তি ছাড়া। দুআটি এই–

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِير

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই-ইন ক্বাদীর।

অর্থ: এক আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই। সমস্ত প্রশংসাও তাঁর। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। [বুখারী, হাদীস নং:৩২৯৩; মুসলিম, হাদীস নং:২৬৯১]

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ (উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী, অর্থ: আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি) সকালে একশত বার ও সন্ধ্যায় একশত বার পড়বে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে উৎকৃষ্ট কিছু কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া যে তার মত বলবে বা তার চেয়ে বাড়িয়ে আমল করবে।” [মুসলিম, হাদীস নং:২৬৯২]

বিজনেস আওয়ার/ ২৭ সেপ্টেম্বর,২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

হাদীস: দৈনিক একশতবার তাসবীহ পাঠের ফযীলত সমূহ

পোস্ট হয়েছে : ০৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ইমাম মুসলিম তার গ্রন্থে সংকলন করেছেন, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এর কাছে ছিলাম। তখন তিনি বললেন, তোমাদের কেউ কি প্রতিদিন এক হাজার নেকী হাছিল করতে অক্ষম?

তখন তার একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করল, কিভাবে আমাদের কারো জন্য এক হাজার নেকী লেখা হতে পারে?

রাসুল (সা.) বললেন, একশবার তাসবীহ পড়লে (সুবহানাল্লাহ্‌বললে) তার জন্য এক হাজার নেকী লেখা হবে কিংবা তার এক হাজার গুনাহ মাফ হবে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ২৬৯৮]

মোল্লা আলী ক্বারী (রহ.) “মিরক্বাতুল মাফাতীহ” গ্রন্থে বলেন, “যেহেতু এক নেকীর বদলে দশ নেকী দেওয়া হয়। কুরআনের আয়াত “যে ব্যক্তি একটি নেকী নিয়ে আসবে সে এর দশগুণ পাবে” [সূরা আনআম, আয়াত: ১৬০] এবং “আল্লাহ্‌ যার জন্য ইচ্ছা বৃদ্ধি করবেন” [সূরা বাক্বারা, আয়াত: ২৬১]-এ প্রতিশ্রুত বৃদ্ধির এটি সর্বনিম্ন একক।

হারাম এলাকার এক নেকী এক লক্ষ নেকীর সমান। কিংবা তার এক হাজার গুনাহ মাফ হবে” অর্থাৎ সগিরা গুনাহ হোক কিংবা কবিরা গুনাহ হোক; সেটা আল্লাহ্‌র ইচ্ছাধীন।”

উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে যে ব্যক্তি একশ এর চেয়ে বেশি পরিমাণ তাসবীহ পড়বে সে তার বৃদ্ধির জন্য বর্ধিত হারে সওয়াব পাবে। যেহেতু এক নেকীতে দশ নেকী দেওয়া হবে। সুতরাং যে ব্যক্তি এক হাজার বার তাসবীহ পড়বে সে ব্যক্তি দশ হাজার নেকী পাবে। এভাবে বৃদ্ধি করা হবে। আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ প্রশস্ত।

এ হাদীসের কাছাকাছি অপর একটি হাদীস হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দুআটি দিনে একশত বার বলবে­এটা তার জন্য দশজন দাসমুক্তির অনুরূপ হবে, তার জন্য একশত সওয়াব লেখা হবে, তার একশটি গুনাহ মুছে দেওয়া হবে, সেই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এটা তার জন্য শয়তান থেকে সুরক্ষা হবে। সে যে সওয়াব পাবে আর কেউ তার চেয়ে উত্তম সওয়াব পাবে না; তবে যে ব্যক্তি তার চেয়ে বেশি আমল করবে সে ব্যক্তি ছাড়া। দুআটি এই–

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِير

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই-ইন ক্বাদীর।

অর্থ: এক আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই। সমস্ত প্রশংসাও তাঁর। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। [বুখারী, হাদীস নং:৩২৯৩; মুসলিম, হাদীস নং:২৬৯১]

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ (উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী, অর্থ: আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি) সকালে একশত বার ও সন্ধ্যায় একশত বার পড়বে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে উৎকৃষ্ট কিছু কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া যে তার মত বলবে বা তার চেয়ে বাড়িয়ে আমল করবে।” [মুসলিম, হাদীস নং:২৬৯২]

বিজনেস আওয়ার/ ২৭ সেপ্টেম্বর,২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: