ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়েদের মুখে অবাঞ্ছিত লোম কেন হয়?

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
  • 821

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: পুরুষদের মতো অনেক সময় মহিলাদের মুখে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লোম দেখা দেয়। শুধু মুখেই নয়, মেয়েদের শরীরের যেসব স্থানে সাধারণত লোম থাকার কথা নয়, সেসব স্থানে লোম হলে তাকে অবাঞ্চিত লোম বলে। যেমন, ঠোঁটের উপরে, চিবুক, থুতনি, বুকে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায়।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই অবাঞ্চিত লোম বৃদ্ধিকে ‘হারসুটিজম (Hirsutism)’ বলা হয়। যেকোনো বয়সের মহিলাদের জন্য ব্যাপারটি অত্যন্ত বিরক্তিকর। মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম বা অতিরিক্ত ফেসিয়াল হেয়ারের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাবো।

মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম এর সাথে হরমোনের সম্পর্ক
মেয়েদের শরীরে এন্ড্রোজেন বা পুরুষ হরমোনের পরিমাণ খুবই কম থাকে। কিন্তু কখনো ডিম্বাশয় বা এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে এই এন্ড্রোজেন বেশি পরিমাণে তৈরি হলে বা এন্ড্রোজেনের অধিক কার্যকারিতার কারণে এই রোগ দেখা দিতে পারে। হরমোনের অসামঞ্জ্যস্যতার কারণে এছাড়াও আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নেই সে বিষয়ে বিস্তারিত।

হরমোনাল ইমব্যালেন্স হলে কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায়?
গলার স্বর বা কন্ঠ ভারি হয়ে যেতে পারে
অতিরিক্ত ব্রণ এর সমস্যা দেখা দিতে পারে
কখনো কখনো চুল পড়ে যেয়ে টাক দেখা দিতে পারে
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়
ঘাড়ে, গলায়, বগলে কালো দাগ দেখা দিতে পারে

মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম বা অতিরিক্ত ফেসিয়াল হেয়ার যে কারণে হয়
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা (PCOS), এ সমস্যা সাধারণত বয়ঃসন্ধিতেই শুরু হয়। এর পরেও হতে পারে, যার কারণে শরীরে অতিরিক্ত লোম বা ফেসিয়াল হেয়ার, অনিয়মিত পিরিয়ড, স্থুলতা, ইনফার্টিলিটি এবং কখনও কখনও ওভারিতে সিস্টও দেখা দেয়।

কুশিং সিন্ড্রোম নামে এক রোগেও শরীরে অতিরিক্ত লোম হতে পারে। শরীরে স্ট্রেস হরমোন বা কর্টিসল এর পরিমাণ বেড়ে গেলে এ রোগ দেখা দেয়।

জন্মগত ত্রুটি বা কনজেনিটাল এড্রেনাল হাইপারপ্লাসিয়া থাকলে এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন যেমন এন্ড্রোজেন হরমোন, কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হয়। সে ক্ষেত্রে হিরসুটিজিম দেখা দিতে পারে। যার কারণে মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম বা অতিরিক্ত ফেসিয়াল হেয়ারের সমস্যা দেখা দেয়।

ওভারি অথবা এড্রেনাল গ্রন্থিতে কোন টিউমার থাকলে অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হয়। সেক্ষেত্রেও হিরসুটিজম দেখা দিতে পারে, অর্থাৎ আপনার মুখে অতিরিক্ত লোম দেখা দিতে পারে।

কিছু কিছু স্টেরয়েড জাতীয় মেডিসিনের অতিরিক্ত মাত্রা এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্যেও মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম গজাতে পারে।

অনেক সময় বংশগতভাবেও শরীরে লোমের আধিক্য হয়ে থাকে।

যদি হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রেও হারসুটিজম হতে পারে।

অনেক সময় পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও এর সঠিক কোনো কারণ নির্ণয় করা যায় না। গোত্র বা জাতিভেদে কিছু কিছু অঞ্চলের মেয়েদের মুখে, শরীরে লোমের আধিক্য দেখা যায়। যেমন- মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের এমন হতে দেখা যায়।

জটিলতাগুলো কী কী?
মেয়েদের অবাঞ্চিত লোমের কারণে শারীরিক কোনো সমস্যা হয় না। তবে ফেইসে বেশি পরিমাণে লোম গজালে সেটা ভেতরের কোনো অসুস্থতাকে নির্দেশ করতে পারে। কারো যদি এর সাথে অনিয়মিত পিরিয়ড ও স্থুলতা থাকে, তাহলে তার পলিসিস্টিক ওভারি আছে, এমনটা ধারণা করা যেতে পারে। উপরের ঠোঁটে, থুতনিতে, বুকে, পিঠে অবাঞ্চিত লোম থাকলে বিব্রতবোধ করেন নারীরা। অনেকে মানসিকভাবেও এটা নিয়ে কষ্ট পান, হীনমন্যতায় ভোগেন।

প্রতিরোধের উপায় আছে কি?
সাধারণত মেয়েদের অবাঞ্চিত লোম বা হিরসুটিজম প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই। তবে স্থুলতা থাকলে তা কমালে হিরসুটিজম রোধে সাহায্য করতে পারে যদি কারো একই সাথে পলিসিস্টিক ওভারি থাকে।

চিকিৎসা
ব্লাড টেস্ট, আল্ট্রাসাউন্ড এবং এক্স-রে এর মাধ্যমে যথাক্রমে রক্তে হরমোনের তারতম্য, ওভারিয়ান টিউমার বা সিস্ট এবং এড্রেনাল গ্রন্থির অসামঞ্জ্যস্যতা নির্ণয় করা যায়।

সঠিক রোগ নির্ণয় পদ্ধতির মাধ্যমে যদি শরীরে লোম বেড়ে যাওয়ার কারণটা বের করা যায়, তাহলে মেডিকেশনের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

যদি বাড়তি ওজন থাকে, তাহলে ব্যায়াম করে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। সঠিক খাদ্যাভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।

বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি যেমন শেভিং, ওয়্যাক্সিং, প্লাকিং, হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করেও অবাঞ্চিত লোম দূর করা যায়। তবে এগুলো সাময়িক সময়ের জন্য সমাধান দেয়। মার্কেটে এখন অনেক ধরনের ফেসিয়াল রেজর পাওয়া যায়। কাটা ছেঁড়ার কোনো চান্স নেই, ব্যবহার করাও খুব সহজ।

লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে এসব অবাঞ্ছিত লোমের গোড়া নষ্ট করে দিয়ে নতুন করে ওঠা রোধ করা যায়। তবে এই চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়বহুল এবং সেই সাথে দক্ষতার প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এই ব্যাপারে।

তাহলে জেনে নিলেন মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম বা অতিরিক্ত ফেসিয়াল হেয়ার কেন হয়। ফেইসে যদি এই ধরনের আনওয়ান্টেড হেয়ার বা পশম দেখতে পান, তাহলে সেটা আপনার ভেতরের কোনো শারীরিক জটিলতাকেও নির্দেশ করতে পারে। তাই সময় থাকতেই সচেতন হতে হবে। নিজে সচেতন হোন এবং অন্যকেও সচেতন করুন। আজ তাহলে এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন।

বিজনেস আওয়ার/০২ অক্টোবর,২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মেয়েদের মুখে অবাঞ্ছিত লোম কেন হয়?

পোস্ট হয়েছে : ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: পুরুষদের মতো অনেক সময় মহিলাদের মুখে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লোম দেখা দেয়। শুধু মুখেই নয়, মেয়েদের শরীরের যেসব স্থানে সাধারণত লোম থাকার কথা নয়, সেসব স্থানে লোম হলে তাকে অবাঞ্চিত লোম বলে। যেমন, ঠোঁটের উপরে, চিবুক, থুতনি, বুকে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায়।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই অবাঞ্চিত লোম বৃদ্ধিকে ‘হারসুটিজম (Hirsutism)’ বলা হয়। যেকোনো বয়সের মহিলাদের জন্য ব্যাপারটি অত্যন্ত বিরক্তিকর। মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম বা অতিরিক্ত ফেসিয়াল হেয়ারের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাবো।

মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম এর সাথে হরমোনের সম্পর্ক
মেয়েদের শরীরে এন্ড্রোজেন বা পুরুষ হরমোনের পরিমাণ খুবই কম থাকে। কিন্তু কখনো ডিম্বাশয় বা এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে এই এন্ড্রোজেন বেশি পরিমাণে তৈরি হলে বা এন্ড্রোজেনের অধিক কার্যকারিতার কারণে এই রোগ দেখা দিতে পারে। হরমোনের অসামঞ্জ্যস্যতার কারণে এছাড়াও আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নেই সে বিষয়ে বিস্তারিত।

হরমোনাল ইমব্যালেন্স হলে কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায়?
গলার স্বর বা কন্ঠ ভারি হয়ে যেতে পারে
অতিরিক্ত ব্রণ এর সমস্যা দেখা দিতে পারে
কখনো কখনো চুল পড়ে যেয়ে টাক দেখা দিতে পারে
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়
ঘাড়ে, গলায়, বগলে কালো দাগ দেখা দিতে পারে

মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম বা অতিরিক্ত ফেসিয়াল হেয়ার যে কারণে হয়
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা (PCOS), এ সমস্যা সাধারণত বয়ঃসন্ধিতেই শুরু হয়। এর পরেও হতে পারে, যার কারণে শরীরে অতিরিক্ত লোম বা ফেসিয়াল হেয়ার, অনিয়মিত পিরিয়ড, স্থুলতা, ইনফার্টিলিটি এবং কখনও কখনও ওভারিতে সিস্টও দেখা দেয়।

কুশিং সিন্ড্রোম নামে এক রোগেও শরীরে অতিরিক্ত লোম হতে পারে। শরীরে স্ট্রেস হরমোন বা কর্টিসল এর পরিমাণ বেড়ে গেলে এ রোগ দেখা দেয়।

জন্মগত ত্রুটি বা কনজেনিটাল এড্রেনাল হাইপারপ্লাসিয়া থাকলে এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন যেমন এন্ড্রোজেন হরমোন, কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হয়। সে ক্ষেত্রে হিরসুটিজিম দেখা দিতে পারে। যার কারণে মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম বা অতিরিক্ত ফেসিয়াল হেয়ারের সমস্যা দেখা দেয়।

ওভারি অথবা এড্রেনাল গ্রন্থিতে কোন টিউমার থাকলে অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হয়। সেক্ষেত্রেও হিরসুটিজম দেখা দিতে পারে, অর্থাৎ আপনার মুখে অতিরিক্ত লোম দেখা দিতে পারে।

কিছু কিছু স্টেরয়েড জাতীয় মেডিসিনের অতিরিক্ত মাত্রা এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্যেও মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম গজাতে পারে।

অনেক সময় বংশগতভাবেও শরীরে লোমের আধিক্য হয়ে থাকে।

যদি হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রেও হারসুটিজম হতে পারে।

অনেক সময় পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও এর সঠিক কোনো কারণ নির্ণয় করা যায় না। গোত্র বা জাতিভেদে কিছু কিছু অঞ্চলের মেয়েদের মুখে, শরীরে লোমের আধিক্য দেখা যায়। যেমন- মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের এমন হতে দেখা যায়।

জটিলতাগুলো কী কী?
মেয়েদের অবাঞ্চিত লোমের কারণে শারীরিক কোনো সমস্যা হয় না। তবে ফেইসে বেশি পরিমাণে লোম গজালে সেটা ভেতরের কোনো অসুস্থতাকে নির্দেশ করতে পারে। কারো যদি এর সাথে অনিয়মিত পিরিয়ড ও স্থুলতা থাকে, তাহলে তার পলিসিস্টিক ওভারি আছে, এমনটা ধারণা করা যেতে পারে। উপরের ঠোঁটে, থুতনিতে, বুকে, পিঠে অবাঞ্চিত লোম থাকলে বিব্রতবোধ করেন নারীরা। অনেকে মানসিকভাবেও এটা নিয়ে কষ্ট পান, হীনমন্যতায় ভোগেন।

প্রতিরোধের উপায় আছে কি?
সাধারণত মেয়েদের অবাঞ্চিত লোম বা হিরসুটিজম প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই। তবে স্থুলতা থাকলে তা কমালে হিরসুটিজম রোধে সাহায্য করতে পারে যদি কারো একই সাথে পলিসিস্টিক ওভারি থাকে।

চিকিৎসা
ব্লাড টেস্ট, আল্ট্রাসাউন্ড এবং এক্স-রে এর মাধ্যমে যথাক্রমে রক্তে হরমোনের তারতম্য, ওভারিয়ান টিউমার বা সিস্ট এবং এড্রেনাল গ্রন্থির অসামঞ্জ্যস্যতা নির্ণয় করা যায়।

সঠিক রোগ নির্ণয় পদ্ধতির মাধ্যমে যদি শরীরে লোম বেড়ে যাওয়ার কারণটা বের করা যায়, তাহলে মেডিকেশনের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

যদি বাড়তি ওজন থাকে, তাহলে ব্যায়াম করে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। সঠিক খাদ্যাভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।

বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি যেমন শেভিং, ওয়্যাক্সিং, প্লাকিং, হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করেও অবাঞ্চিত লোম দূর করা যায়। তবে এগুলো সাময়িক সময়ের জন্য সমাধান দেয়। মার্কেটে এখন অনেক ধরনের ফেসিয়াল রেজর পাওয়া যায়। কাটা ছেঁড়ার কোনো চান্স নেই, ব্যবহার করাও খুব সহজ।

লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে এসব অবাঞ্ছিত লোমের গোড়া নষ্ট করে দিয়ে নতুন করে ওঠা রোধ করা যায়। তবে এই চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়বহুল এবং সেই সাথে দক্ষতার প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এই ব্যাপারে।

তাহলে জেনে নিলেন মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম বা অতিরিক্ত ফেসিয়াল হেয়ার কেন হয়। ফেইসে যদি এই ধরনের আনওয়ান্টেড হেয়ার বা পশম দেখতে পান, তাহলে সেটা আপনার ভেতরের কোনো শারীরিক জটিলতাকেও নির্দেশ করতে পারে। তাই সময় থাকতেই সচেতন হতে হবে। নিজে সচেতন হোন এবং অন্যকেও সচেতন করুন। আজ তাহলে এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন।

বিজনেস আওয়ার/০২ অক্টোবর,২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: