ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারের গেম্বলার বিএসইসির শুভেচ্ছাদূতের পার্টনার

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • 111

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথা পুরো শেয়ারবাজারের শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। যার অনুপ্রেরণায় দেশের শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু সেই শুভেচ্ছাদূতের ব্যবসায়িক অংশীদার শেয়ারবাজারের বহুল সমালোচিত গেম্বলার বা কারসাজিকর আবুল খায়ের হিরু। যার সঙ্গে তালমিলিয়ে কারসাজি হওয়া শেয়ারগুলোতে বড় বিনিয়োগও করেন সাকিব।

শেয়ারবাজারে সেকেন্ডারিতে বিনিয়োগে সাকিব ও হিরুর সখ্যতা ছাড়াও তারা ব্যবসায়িক পার্টনার। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ি, ব্রোকারেজ হাউজ মোনার্ক হোল্ডিংসের অন্যতম অংশীদার আবুল খায়ের হিরু। যার নেতৃত্বাধীন চক্রকে এরইমধ্যে বেশ কিছু কোম্পানিতে বিনিয়োগে নিয়ম ভঙ্গ বা কারসাজির দায়ে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এমন একজন গেম্বলারের ব্যবসায়িক অংশীদার দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। যাকে বিএসইসি তথা শেয়ারবাজারের শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ারবাজারের শুভেচ্ছাদূত নৈতিকভাবে একজন গেম্বলারের সঙ্গে সখ্যতা রাখতে পারে না। যদি তাই রাখে, তাহলে তাকে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব বা ভূমিকা রাখার জন্য যে শুভেচ্ছাদূত বানানো হয়েছে, তার কোন ফল আসবে না। বরং শুভেচ্ছাদূত যখন গেম্বলারের সঙ্গে পার্টনার হবে, সেটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ কারনেই হয়তো সাকিবকে শুভেচ্ছাদূত নিয়োগের পরেও বাজারে কোন ইতিবাচক মনোভাব তৈরী হয়নি।

আরও পড়ুন……
শেয়ারবাজারের উন্নতি করতে কারসাজি
শেয়ার কারসাজিতে হল্টেড করতে সময় নেন ২ মিনিট

তাদের মতে, যেকোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে জনপ্রিয় ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। যাকে অনেকে অনুসরন করে। এই অনুসরনকারীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার জন্যই তাকে শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন সেই শুভেচ্ছাদূত যদি গেম্বলারের সঙ্গে চলে, তাহলে আর যাইহোক, ইতিবাচক কিছু আশা করা যায় না।

কমিশন গত কয়েক মাসে এনআরবিসি ব্যাংক, ফরচুন সুজ, বিডিকম অনলাইন, ওয়ান ব্যাংক, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স এবং ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতে হিরু চক্রকে প্রায় ১১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওইসব শেয়ারে অনৈতিকভাবে কৃত্রিম উপায়ে সাধারন বিনিয়োগকারীদেরকে ফাঁদে ফেলে ফায়দা উসিল করে হিরু। যেসব শেয়ারে আবার বড় বিনিয়োগকারী সাকিব আল হাসান।

জরিমানা করা ওইসব শেয়ারের মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংক, ফরচুন সুজসহ কয়েকটি কোম্পানিতে বড় ক্রেতা ছিল সাকিব আল হাসান। যা হিরুকে কারসাজিতে সহযোগিতা করছে।

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ২০২১ সাল থেকে শেয়ারবাজারে সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখা যায়। যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে রয়েছে, সেই মোনার্ক হোল্ডিংস হলো শেয়ার বেচাকেনার ব্রোকারেজ হাউজ। প্রতিষ্ঠানটিতে সাকিবের ৩৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এ ব্রোকারেজ হাউজটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান।

বিজনেস আওয়ার/১৩ অক্টোবর, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

2 thoughts on “শেয়ারবাজারের গেম্বলার বিএসইসির শুভেচ্ছাদূতের পার্টনার

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শেয়ারবাজারের গেম্বলার বিএসইসির শুভেচ্ছাদূতের পার্টনার

পোস্ট হয়েছে : ১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথা পুরো শেয়ারবাজারের শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। যার অনুপ্রেরণায় দেশের শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু সেই শুভেচ্ছাদূতের ব্যবসায়িক অংশীদার শেয়ারবাজারের বহুল সমালোচিত গেম্বলার বা কারসাজিকর আবুল খায়ের হিরু। যার সঙ্গে তালমিলিয়ে কারসাজি হওয়া শেয়ারগুলোতে বড় বিনিয়োগও করেন সাকিব।

শেয়ারবাজারে সেকেন্ডারিতে বিনিয়োগে সাকিব ও হিরুর সখ্যতা ছাড়াও তারা ব্যবসায়িক পার্টনার। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ি, ব্রোকারেজ হাউজ মোনার্ক হোল্ডিংসের অন্যতম অংশীদার আবুল খায়ের হিরু। যার নেতৃত্বাধীন চক্রকে এরইমধ্যে বেশ কিছু কোম্পানিতে বিনিয়োগে নিয়ম ভঙ্গ বা কারসাজির দায়ে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এমন একজন গেম্বলারের ব্যবসায়িক অংশীদার দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। যাকে বিএসইসি তথা শেয়ারবাজারের শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ারবাজারের শুভেচ্ছাদূত নৈতিকভাবে একজন গেম্বলারের সঙ্গে সখ্যতা রাখতে পারে না। যদি তাই রাখে, তাহলে তাকে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব বা ভূমিকা রাখার জন্য যে শুভেচ্ছাদূত বানানো হয়েছে, তার কোন ফল আসবে না। বরং শুভেচ্ছাদূত যখন গেম্বলারের সঙ্গে পার্টনার হবে, সেটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ কারনেই হয়তো সাকিবকে শুভেচ্ছাদূত নিয়োগের পরেও বাজারে কোন ইতিবাচক মনোভাব তৈরী হয়নি।

আরও পড়ুন……
শেয়ারবাজারের উন্নতি করতে কারসাজি
শেয়ার কারসাজিতে হল্টেড করতে সময় নেন ২ মিনিট

তাদের মতে, যেকোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে জনপ্রিয় ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। যাকে অনেকে অনুসরন করে। এই অনুসরনকারীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার জন্যই তাকে শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন সেই শুভেচ্ছাদূত যদি গেম্বলারের সঙ্গে চলে, তাহলে আর যাইহোক, ইতিবাচক কিছু আশা করা যায় না।

কমিশন গত কয়েক মাসে এনআরবিসি ব্যাংক, ফরচুন সুজ, বিডিকম অনলাইন, ওয়ান ব্যাংক, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স এবং ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতে হিরু চক্রকে প্রায় ১১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওইসব শেয়ারে অনৈতিকভাবে কৃত্রিম উপায়ে সাধারন বিনিয়োগকারীদেরকে ফাঁদে ফেলে ফায়দা উসিল করে হিরু। যেসব শেয়ারে আবার বড় বিনিয়োগকারী সাকিব আল হাসান।

জরিমানা করা ওইসব শেয়ারের মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংক, ফরচুন সুজসহ কয়েকটি কোম্পানিতে বড় ক্রেতা ছিল সাকিব আল হাসান। যা হিরুকে কারসাজিতে সহযোগিতা করছে।

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ২০২১ সাল থেকে শেয়ারবাজারে সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখা যায়। যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে রয়েছে, সেই মোনার্ক হোল্ডিংস হলো শেয়ার বেচাকেনার ব্রোকারেজ হাউজ। প্রতিষ্ঠানটিতে সাকিবের ৩৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এ ব্রোকারেজ হাউজটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান।

বিজনেস আওয়ার/১৩ অক্টোবর, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: