ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত রংপুর

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
  • 57

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দুপুর ২টায় রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু হবে। ধর্মঘটকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে সভাস্থলে এসেছেন অনেকেই। কেউ কেউ বুধবার-বৃস্প্রতিবার রাতেই মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ ভাড়া করে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে ছূটে এসেছেন। সমাবেশ শুরুর হওয়ার আগেই কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ লোকে-লোকারণ্য হয়ে উঠছে।

সকাল থেকেই বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে ‌‌‌‌‌স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে রংপুর নগর। আবার মধ্যরাত থেকেই দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে এসেছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর থেকে রংপুর মহানগরীর প্রবেশমুখ মাহিগঞ্জ সাতমাথা, মেডিকেল মোড়, টার্মিনাল রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মিছিল নিয়ে আসতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান সড়কগুলোতে খণ্ড খণ্ড মিছিলের চাপ বাড়ছে, বাড়ছে স্লোগানের প্রতিধ্বনিও।

বিএনপি কর্মী নুরুল হক বলেন, আমাদের মনে অনেক কষ্ট। প্রায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে আমরা রংপুরে এসেছি। সরকার আমাদের সমাবেশে আসতে দেবে না বলে ধর্মঘট দিয়েছে। কিন্তু দলের লোকজন হেঁটে, অটোরিকশায় চড়ে, কেউবা মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে এসেছে। এই সরকার মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এবার সুষ্ঠু ভোট হলে খেলা হবে, সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।

লালমনিরহাটের বড়বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক অটোরিকশায় করে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি বিএনপির নেতা-কর্মী সকাল ৮টার দিকে রংপুর শহরে প্রবেশ করেন। তাদের মুখে বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি হাতে ছিল ধানের শীষ আর বাঁশের লাঠিতে বাঁধা জাতীয় পতাকা। সারিবদ্ধভাবে একে একে অটোরিকশাগুলো সাতমাথা অতিক্রম করে পার্কের মোড়ে গিয়ে জমায়েত হয়। পরে সেখান থেকে বিশাল একটি মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে যান তারা।

এদিকে সড়ক পথে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদ ও তিন চাকার যানবাহনসহ মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন চলেছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট চলবে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিএনপির গণসমাবেশের দুদিন আগে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তবে বন্ধ নেই তিন চাকার যানসহ কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল চলাচল। বরং আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে ছোট ছোট এসব যানবাহনের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তবে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার রংপুরে তাদের চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/২৯ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত রংপুর

পোস্ট হয়েছে : ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দুপুর ২টায় রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু হবে। ধর্মঘটকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে সভাস্থলে এসেছেন অনেকেই। কেউ কেউ বুধবার-বৃস্প্রতিবার রাতেই মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ ভাড়া করে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে ছূটে এসেছেন। সমাবেশ শুরুর হওয়ার আগেই কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ লোকে-লোকারণ্য হয়ে উঠছে।

সকাল থেকেই বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে ‌‌‌‌‌স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে রংপুর নগর। আবার মধ্যরাত থেকেই দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে এসেছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর থেকে রংপুর মহানগরীর প্রবেশমুখ মাহিগঞ্জ সাতমাথা, মেডিকেল মোড়, টার্মিনাল রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মিছিল নিয়ে আসতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান সড়কগুলোতে খণ্ড খণ্ড মিছিলের চাপ বাড়ছে, বাড়ছে স্লোগানের প্রতিধ্বনিও।

বিএনপি কর্মী নুরুল হক বলেন, আমাদের মনে অনেক কষ্ট। প্রায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে আমরা রংপুরে এসেছি। সরকার আমাদের সমাবেশে আসতে দেবে না বলে ধর্মঘট দিয়েছে। কিন্তু দলের লোকজন হেঁটে, অটোরিকশায় চড়ে, কেউবা মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে এসেছে। এই সরকার মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এবার সুষ্ঠু ভোট হলে খেলা হবে, সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।

লালমনিরহাটের বড়বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক অটোরিকশায় করে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি বিএনপির নেতা-কর্মী সকাল ৮টার দিকে রংপুর শহরে প্রবেশ করেন। তাদের মুখে বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি হাতে ছিল ধানের শীষ আর বাঁশের লাঠিতে বাঁধা জাতীয় পতাকা। সারিবদ্ধভাবে একে একে অটোরিকশাগুলো সাতমাথা অতিক্রম করে পার্কের মোড়ে গিয়ে জমায়েত হয়। পরে সেখান থেকে বিশাল একটি মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে যান তারা।

এদিকে সড়ক পথে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদ ও তিন চাকার যানবাহনসহ মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন চলেছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট চলবে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিএনপির গণসমাবেশের দুদিন আগে ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তবে বন্ধ নেই তিন চাকার যানসহ কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল চলাচল। বরং আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে ছোট ছোট এসব যানবাহনের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তবে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার রংপুরে তাদের চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/২৯ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: