ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডলার সরবরাহ বাড়াতে ৬ উদ্যোগ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২
  • 42

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বৈধপথে প্রবাসী আয় ধারাবাহিক কমছে। অর্থনীতির অন্যতম এ সূচকটির নেতিবাচক গতি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বৈধপথে রেমিট্যান্স আনতে বিভিন্ন শর্ত শিথিল, চার্জ ফি মওকুফসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ডলার সরবরাহ/রেমিট্যান্স বাড়াতে নেওয়া উদ্যোগ ও পদক্ষেপগুলো হলো- বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করা, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা ও রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, চলতি বছরের অক্টোবরে আগের মাস সেপ্টেম্বরের তুলনায় রেমিট্যান্স কিছুটা কম এসেছে। তবে চলতি বছরের প্রথম চারমাসে গত বছরের তুলনায় রেমিট্যান্স ২.০৩ শতাংশ বেশি এসেছে। রেমিট্যান্স একটি ফ্লো। মাসভিত্তিক এ প্রবাহে কম বেশি হতে পারে। মৌসুমি প্রভাবে ও বিশেষ বিশেষ অবস্থায় এ
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। এছাড়া প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরইমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে আশা করছি আগামীতে রেমিট্যান্স আহরণ ধীরে ধীরে বাড়বে।

এদিকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও রেমিট্যান্স বাড়াতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অ‌ক্টোব‌রে ১৫২ কোটি ডলারের সমপ‌রিমাণ বৈ‌দে‌শিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই অংক গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

চলতি অর্থবছরের টানা দুই মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বৈধপথে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত আগস্ট মাসে ২০৩ কো‌টি ৭৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। তার আগের মাস জুলাইয়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। জুলাই মাসে পবিত্র ঈদ-উল আজহার কারণে দেশে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল। তবে আগস্টে বড় উৎসব ছিল না, তারপরও প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়ায়।

বিজনেস আওয়ার/৭ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ডলার সরবরাহ বাড়াতে ৬ উদ্যোগ

পোস্ট হয়েছে : ০৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বৈধপথে প্রবাসী আয় ধারাবাহিক কমছে। অর্থনীতির অন্যতম এ সূচকটির নেতিবাচক গতি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বৈধপথে রেমিট্যান্স আনতে বিভিন্ন শর্ত শিথিল, চার্জ ফি মওকুফসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ডলার সরবরাহ/রেমিট্যান্স বাড়াতে নেওয়া উদ্যোগ ও পদক্ষেপগুলো হলো- বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করা, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা ও রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, চলতি বছরের অক্টোবরে আগের মাস সেপ্টেম্বরের তুলনায় রেমিট্যান্স কিছুটা কম এসেছে। তবে চলতি বছরের প্রথম চারমাসে গত বছরের তুলনায় রেমিট্যান্স ২.০৩ শতাংশ বেশি এসেছে। রেমিট্যান্স একটি ফ্লো। মাসভিত্তিক এ প্রবাহে কম বেশি হতে পারে। মৌসুমি প্রভাবে ও বিশেষ বিশেষ অবস্থায় এ
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। এছাড়া প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরইমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে আশা করছি আগামীতে রেমিট্যান্স আহরণ ধীরে ধীরে বাড়বে।

এদিকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও রেমিট্যান্স বাড়াতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অ‌ক্টোব‌রে ১৫২ কোটি ডলারের সমপ‌রিমাণ বৈ‌দে‌শিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই অংক গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

চলতি অর্থবছরের টানা দুই মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বৈধপথে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত আগস্ট মাসে ২০৩ কো‌টি ৭৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। তার আগের মাস জুলাইয়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। জুলাই মাসে পবিত্র ঈদ-উল আজহার কারণে দেশে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল। তবে আগস্টে বড় উৎসব ছিল না, তারপরও প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়ায়।

বিজনেস আওয়ার/৭ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: