বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপারসহ আট পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বাঞ্ছারামপুর আদালত) সামিউল আলম এক আদেশে এই মামলার আবেদন খারিজ করে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজ্ঞ বিচারক এই মামলায় আইনজীবীদের শুনানি শুনেছেন। আদেশ দিয়ে এই মামলার আবেদন তিনি খারিজ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর থানায় এরইমধ্যে একটি মামলা রয়েছে। আইনের কিছু বিষয় এখানে সাংঘর্ষিক রয়েছে। বিস্তারিত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার বাবা রহমত উল্লাহ বুধবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বাঞ্ছারামপুর আদালত) সামিউল আলমের আদালতে মামলার আবেদন করেন।
বাঞ্ছারামপুর থানার কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস (২৬), কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম (৩৩), বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলম (৪১), পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে (৩২), উপপরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন খান (৩০) ও বিকিরণ চাকমা (৩২), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে এ আবেদন করা হয়। বিচারক আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে পরে আদেশ দিবেন বলে জানান।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশের লিফলেট বিতরণকালে খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মামলার ৭ ও ৮ নম্বর আসামি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন রেজার নির্দেশে তারা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ১ নম্বর আসামি কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস কাছ থেকে ছাত্রদল নেতা নয়নকে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত ১০টার দিকে মারা যান নয়ন।
নিহত নয়ন বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি বাঞ্ছারামপুর ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিজনেস আওয়ার/২৪ নভেম্বর, ২০২২/