ঢাকা , রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে বন্ধ হচ্ছে আমাজনের অনলাইন খাবার ডেলিভারি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • 50

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার ভারতে বন্ধ হচ্ছে আমাজনের অনলাইন খাবার ডেলিভারি পরিষেবা। ইতিমধ্যেই সহযোগী রেস্তোরাঁগুলির কাছে এই মর্মে বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

২০২০ সালের মে মাসে দেশজুড়ে যখন অতিমারী আর লকডাউনের ভ্রুকুটি, তখনই এই ডেলিভারি শুরু করেছিল আমাজন। অবশেষে আগামী ২৯ ডিসেম্বরই বন্ধ হতে চলেছে এই পরিষেবা।

ইতিমধ্যেই সমস্ত সহযোগী রেস্তরাঁকে ইমেল করে আমাজনেক তরফে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ‘এই সিদ্ধান্তের অর্থ আপনারা আর ওই তারিখের পরে আমাজনের মাধ্যমে খাবারের অনলাইন অর্ডার পাবেন না। ততদিন পর্যন্ত অবশ্য অর্ডার পাবেন। এবং আমাদের আশা সেই সব অর্ডার আপনারা পূরণ করবেন।’ তবে এই বছরের মধ্যেই পরিষেবা বন্ধ হলেও ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত আমাজন টুল ও রিপোর্ট ব্যবহার করতে পারবে রেস্তরাঁগুলি। এবং পরিষেবা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেই সংক্রান্ত সহায়তাও পাবেন।

প্রসঙ্গত, টুইটারের পথেই হেঁটে আমাজনও গিয়ে হাজার দশেক কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে বলে গুঞ্জন ক্রমেই বাড়ছে। সংস্থার বেশ কিছু ব্যবসায় যে বেশ মন্দা দেখা দিয়েছে তা জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই ছাঁটাই ছাড়া উপায় দেখছে না তারা। ভারতে খাবার ডেলিভারি বন্ধও কি সেই সিদ্ধান্তেরই প্রতিফলন? উঠছে প্রশ্ন।

কিন্তু কেন হঠাৎ এতজন কর্মীকে একসঙ্গে ছেঁটে ফেলছে আমাজন? জানা গিয়েছে, প্রায় মাসখানেক ধরেই কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছিল। উৎসবের মরশুমে প্রতিবার বিপুল লাভ হয় এই ই-কমার্স সংস্থার। কিন্তু চলতি বছরে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। সেই কারণেই প্রায় দশ হাজার কর্মীকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই আমাজনের তরফে জানানো হয়েছিল, আপাতত নতুন করে নিয়োগ করা হবে না এই সংস্থায়। সূত্র: টিওআই।

বিজনেস আওয়ার/২৭ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ভারতে বন্ধ হচ্ছে আমাজনের অনলাইন খাবার ডেলিভারি

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার ভারতে বন্ধ হচ্ছে আমাজনের অনলাইন খাবার ডেলিভারি পরিষেবা। ইতিমধ্যেই সহযোগী রেস্তোরাঁগুলির কাছে এই মর্মে বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

২০২০ সালের মে মাসে দেশজুড়ে যখন অতিমারী আর লকডাউনের ভ্রুকুটি, তখনই এই ডেলিভারি শুরু করেছিল আমাজন। অবশেষে আগামী ২৯ ডিসেম্বরই বন্ধ হতে চলেছে এই পরিষেবা।

ইতিমধ্যেই সমস্ত সহযোগী রেস্তরাঁকে ইমেল করে আমাজনেক তরফে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ‘এই সিদ্ধান্তের অর্থ আপনারা আর ওই তারিখের পরে আমাজনের মাধ্যমে খাবারের অনলাইন অর্ডার পাবেন না। ততদিন পর্যন্ত অবশ্য অর্ডার পাবেন। এবং আমাদের আশা সেই সব অর্ডার আপনারা পূরণ করবেন।’ তবে এই বছরের মধ্যেই পরিষেবা বন্ধ হলেও ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত আমাজন টুল ও রিপোর্ট ব্যবহার করতে পারবে রেস্তরাঁগুলি। এবং পরিষেবা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেই সংক্রান্ত সহায়তাও পাবেন।

প্রসঙ্গত, টুইটারের পথেই হেঁটে আমাজনও গিয়ে হাজার দশেক কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে বলে গুঞ্জন ক্রমেই বাড়ছে। সংস্থার বেশ কিছু ব্যবসায় যে বেশ মন্দা দেখা দিয়েছে তা জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই ছাঁটাই ছাড়া উপায় দেখছে না তারা। ভারতে খাবার ডেলিভারি বন্ধও কি সেই সিদ্ধান্তেরই প্রতিফলন? উঠছে প্রশ্ন।

কিন্তু কেন হঠাৎ এতজন কর্মীকে একসঙ্গে ছেঁটে ফেলছে আমাজন? জানা গিয়েছে, প্রায় মাসখানেক ধরেই কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছিল। উৎসবের মরশুমে প্রতিবার বিপুল লাভ হয় এই ই-কমার্স সংস্থার। কিন্তু চলতি বছরে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। সেই কারণেই প্রায় দশ হাজার কর্মীকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই আমাজনের তরফে জানানো হয়েছিল, আপাতত নতুন করে নিয়োগ করা হবে না এই সংস্থায়। সূত্র: টিওআই।

বিজনেস আওয়ার/২৭ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: