আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকার সর্বাধিক জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় সেখানকার ইমামসহ অন্তত ১২ জন মুসল্লি নিহত হয়েছে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে মসজিদে এশার নামাজের সময় এই ঘটনা ঘটে, এসময় কয়েক জন মুসল্লিকে অপহরণ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা প্রায়ই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে মানুষকে হত্যা অথবা অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করে। সংঘবদ্ধ গ্যাং চক্রের এই সদস্যরা গ্রামবাসীদের চাষাবাদ এবং ফসল কাটার অনুমতির জন্য সুরক্ষা ফিও দাবি করে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারির নিজ প্রদেশ ক্যাটসিনার ফুন্তুয়া এলাকার বাসিন্দা লাওয়াল হারুনা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, বন্দুকধারীরা মোটরসাইকেলে করে মাইগামজি মসজিদে আসে এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। যে কারণে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
রাতে এশার নামাজের সময় গোলাগুলির মাঝে পড়ে অন্তত ১২ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে মসজিদের প্রধান ইমামও আছেন বলে জানিয়েছেন হারুনা।
ফুন্তুয়ার আরেক বাসিন্দা আব্দুল্লাহি মোহাম্মদ বলেন, হামলাকারীরা মসজিদ থেকে অনেক লোকজনকে জড়ো করে এবং ঝোপের কাছে নিয়ে যায়। আমি অপহরণ করা নিরীহ লোকদের মুক্তির জন্য তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।
ক্যাটসিনা পুলিশের মুখপাত্র গাম্বো ইসাহ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সরকার-সমর্থিত প্রহরী কিছু বাসিন্দার সহায়তায় কয়েক জন মুসল্লিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের ক্যাটসিনাসহ কয়েকটি প্রদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী নাইজারের সীমান্ত রয়েছে। আর এই সীমান্ত ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ সশস্ত্র দস্যুরা দুই দেশের মাঝে অবাধে চলাচল করে।
বিজনেস আওয়ার/০৪ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ