বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আলামত পর্যবেক্ষণ করে মনে হচ্ছে, ফারদিন আত্মহত্যা করতে পারেন।’ সন্ধ্যা ছয়টার পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান এই ডিবি কর্মকর্তা।
নিখোঁজের ৩ দিন পর গত ৭ নভেম্বর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিনের অর্ধগলিত মরদেহ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, বুধবার বিকেলে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়—বুয়েট ছাত্র ফারদিন মৃত্যু সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অগ্রগতি পেয়েছে র্যাব। এরপরেই ডিবির পক্ষ থেকে আত্মহত্যার খবর জানানো হলো।
পরে একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব থেকে জানানো হয়, কারওয়ান বাজারে সংস্থাটির মিডিয়া সেন্টারে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যু সংক্রান্তে প্রেস ব্রিফিং করবেন আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
যদিও ফারদিন নূর পরশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মাথায় ও বুকের পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মূলত মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলেই তার মৃত্যু হয়।
নভেম্বরের ১৭ তারিখ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন এএফএম মশিউর রহমানের কাছে। ময়নাতদন্ত করেন ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও শেখ ফরহাদ।
ফারদিনের মৃত্যু হয়েছে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টফারদিনের মৃত্যু হয়েছে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
সিভিল সার্জন এএফএম মশিউর রহমান বলেন, ‘ফারদিনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার বুকের দুপাশে দুই-তিনটি ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আমরা পেয়েছি। পাশাপাশি তাঁর মাথায় চার-পাঁচটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা হয়।
বিজনেস আওয়ার/১৪ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ