বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে ২০১১ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া বারাকা পাওয়ারের জন্য প্রতিটি শেয়ার ৬০ টাকায় ইস্যু করা কোম্পানিটির বাজার দর এখন ২১.৩০ টাকায়। যে দরেও শেয়ারটিতে এখন ক্রেতা পাওয়া যায়নি। আটকে আছে ফ্লোর প্রাইসে। যে কোম্পানিতে শ্রম আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে।
![](https://businesshour24.com/wp-content/uploads/2023/01/Screenshot_3-3.jpg)
বারাকা পাওয়ার শেয়ারবাজারে প্রতিটি শেয়ার ৫০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৬০ টাকা করে ইস্যুর মাধ্যমে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এই ইস্যু মূল্যের কোম্পানিটি ২০২১-২২ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে। যা ইস্যু মূল্য বিবেচনায় মাত্র ১.৬৭ শতাংশ।
![](https://businesshour24.com/wp-content/uploads/2023/01/Screenshot_2-3.jpg)
এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষও একই গ্রুপের বারাকা পতেঙ্গার ন্যায় শ্রম আইন পরিপালন করেনি। এর মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার নিট মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন….
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারে আইনের ব্যত্যয় : বছর না যেতেই ইস্যু মূল্যের নিচে শেয়ার
বাংলাদেশের ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, প্রতি বছর নিট মুনাফার ৫% ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা এবং তা কর্মীদের মধ্যে বিতরন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বারাকা পাওয়ার কর্তৃপক্ষ ২০২১-২২ অর্থবছরের ব্যবসায় এই ফান্ড গঠন করেনি।
তবে বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার এসোসিয়েশন (বিআইপিপিএ) ওই ফান্ড গঠনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি চেয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। যা মঞ্জুর না হতেই বারাকা পাওয়ার কর্তৃপক্ষ কার্যকর করা শুরু করে দিয়েছে।
এর মাধ্যমে কোম্পানিটি নিট মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখিয়েছে। দেখা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার নিট মুনাফা করা বারাকা পাওয়ারে ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ডব্লিউপিপিএফ ফান্ড গঠন করা হয়েছিল। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট মুনাফা ৪৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এর উপরে ৫% হারে ফান্ড গঠন করলে হতো ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
![](https://businesshour24.com/wp-content/uploads/2023/01/Screenshot_1-2.jpg)
২০১১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বারাকা পাওয়ারের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২৩৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদদের মালিকানা ৬৮.১৩ শতাংশ।
বিজনেস আওয়ার/২৫ জানুয়ারি, ২০২৩/আরএ