ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেসমারিক প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া কাজ করা অসম্ভব: সেনাপ্রধান

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক:সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের অনেক দায়িত্ব পালন করে, যেগুলো বেসামরিক প্রশাসনের আওতায়। বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় যেসব কর্মকাণ্ড করা হয়, সেগুলো কিন্তু বেসমারিক প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া করা সম্ভব না।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে এই কার্য-অধিবেশন হয়।

ডিসি সম্মেলনে সশরীর উপস্থিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গতবারও আমি ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি, এবারও এসেছি। আমি কিন্তু কোনো প্রতিনিধি পাঠাইনি। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে পরপর দুই বছর সশরীরে উপস্থিত হওয়া এটাই প্রমাণ করে যে, এটাকে কতটা গুরুত্ব আমি দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, প্রশাসনে মাঠপর্যায়ে যারা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন, তারা হলেন ডিসি। সেনাবাহিনী চাচ্ছে বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের দেওয়া যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা। বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় সেনাবাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা ও জাতি গঠন–সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং অনেক নিরাপত্তামূলক দায়িত্বও পালন করে থাকে। এখানে কথা প্রসঙ্গে গত বন্যায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা সবাই করেছে। অন্যান্য কাজেও আমাদের প্রশংসাগুলো তারা বলেছে।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সেনাবাহিনী মনে করে বেসামরিক প্রশাসন তাদের (সেনাবাহিনী) সঙ্গে আগের চেয়ে অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করে আগের চেয়ে অনেক ভালো, স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। এই যে আমাদের একটা কালচারাল ডিফারেন্স, সেনাবাহিনী তাদের মতো করে কাজ করছে, বেসামরিক প্রশাসন তাদের মতো করে কাজ করছে। উদ্দেশ্য একই, কিন্তু কর্মপদ্ধতির ভিন্নতার কারণে কিছু কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়তো হয়ে থাকে।

‘যত আমরা এগুলো দূর করতে পারবো, নিজের কাজের স্বকীয়তা বজায় রেখে, আমার মনে হয় উই উইল বি এইবল টু পারফর্ম হোয়াট ইজ এক্সপেক্টেড ফ্রম আস বাই দ্য গভর্নমেন্ট অ্যান্ড দ্য পিপল অব দ্য কান্ট্রি।’

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেনাপ্রধান বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।

‘আমি তাদের এই সিগন্যালটা ক্লিয়ারভাবে দিয়ে গেলাম, আমি ব্যক্তিগতভাবে এসেছি, সেনাবাহিনী চাচ্ছে, সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের প্রদত্ত যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে’, বলেন সেনাপ্রধান।

বিজনেস আওয়ার/২৬ জানুয়ারি, ২০২৩/এস এম

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বেসমারিক প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া কাজ করা অসম্ভব: সেনাপ্রধান

পোস্ট হয়েছে : ০৩:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক:সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের অনেক দায়িত্ব পালন করে, যেগুলো বেসামরিক প্রশাসনের আওতায়। বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় যেসব কর্মকাণ্ড করা হয়, সেগুলো কিন্তু বেসমারিক প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া করা সম্ভব না।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে এই কার্য-অধিবেশন হয়।

ডিসি সম্মেলনে সশরীর উপস্থিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গতবারও আমি ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি, এবারও এসেছি। আমি কিন্তু কোনো প্রতিনিধি পাঠাইনি। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে পরপর দুই বছর সশরীরে উপস্থিত হওয়া এটাই প্রমাণ করে যে, এটাকে কতটা গুরুত্ব আমি দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, প্রশাসনে মাঠপর্যায়ে যারা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন, তারা হলেন ডিসি। সেনাবাহিনী চাচ্ছে বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের দেওয়া যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা। বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় সেনাবাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা ও জাতি গঠন–সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং অনেক নিরাপত্তামূলক দায়িত্বও পালন করে থাকে। এখানে কথা প্রসঙ্গে গত বন্যায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা সবাই করেছে। অন্যান্য কাজেও আমাদের প্রশংসাগুলো তারা বলেছে।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সেনাবাহিনী মনে করে বেসামরিক প্রশাসন তাদের (সেনাবাহিনী) সঙ্গে আগের চেয়ে অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করে আগের চেয়ে অনেক ভালো, স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। এই যে আমাদের একটা কালচারাল ডিফারেন্স, সেনাবাহিনী তাদের মতো করে কাজ করছে, বেসামরিক প্রশাসন তাদের মতো করে কাজ করছে। উদ্দেশ্য একই, কিন্তু কর্মপদ্ধতির ভিন্নতার কারণে কিছু কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়তো হয়ে থাকে।

‘যত আমরা এগুলো দূর করতে পারবো, নিজের কাজের স্বকীয়তা বজায় রেখে, আমার মনে হয় উই উইল বি এইবল টু পারফর্ম হোয়াট ইজ এক্সপেক্টেড ফ্রম আস বাই দ্য গভর্নমেন্ট অ্যান্ড দ্য পিপল অব দ্য কান্ট্রি।’

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেনাপ্রধান বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।

‘আমি তাদের এই সিগন্যালটা ক্লিয়ারভাবে দিয়ে গেলাম, আমি ব্যক্তিগতভাবে এসেছি, সেনাবাহিনী চাচ্ছে, সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের প্রদত্ত যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে’, বলেন সেনাপ্রধান।

বিজনেস আওয়ার/২৬ জানুয়ারি, ২০২৩/এস এম

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: