ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন রাহাত খান

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০
  • 54

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক রাহাত খানের মরদেহ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অপর্ণা খান। শনিবার (২৯ আগস্ট) এ কথা জানান তিনি। এর আগে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় ইস্কাটন গার্ডেনের বাসায় মারা যান তিনি।

অপর্ণা খান বলেন, জানাজার জন্য তার মরদেহ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আনা হয়েছে। নামাজে জানাজা শেষে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন রাহাত খান। করোনাকালে জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়া হওয়ায় তার সার্জারি করা যাচ্ছিল না বলে বাসাতেই অবস্থান করছিলেন গুণী এই সাংবাদিক।

রাহাত খান বাংলাদেশের খ্যাতিমান একজন কথাশিল্পীও। ছোটগল্প ও উপন্যাস উভয় শাখাতেই তার ছিল অবাধ বিচরণ। সাংবাদিক হিসেবেও রাহাত খানের অবদান উল্লেখযোগ্য। ষাটের দশক থেকে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন। বিশিষ্ট এ সাংবাদিক ও সাহিত্যিকের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, রাজনৈতিক দলের নেতারা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-সংগঠনসহ বিশিষ্টজনরা।

বিজনেস আওয়ার/২৯ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন রাহাত খান

পোস্ট হয়েছে : ১২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক রাহাত খানের মরদেহ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অপর্ণা খান। শনিবার (২৯ আগস্ট) এ কথা জানান তিনি। এর আগে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় ইস্কাটন গার্ডেনের বাসায় মারা যান তিনি।

অপর্ণা খান বলেন, জানাজার জন্য তার মরদেহ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আনা হয়েছে। নামাজে জানাজা শেষে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন রাহাত খান। করোনাকালে জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়া হওয়ায় তার সার্জারি করা যাচ্ছিল না বলে বাসাতেই অবস্থান করছিলেন গুণী এই সাংবাদিক।

রাহাত খান বাংলাদেশের খ্যাতিমান একজন কথাশিল্পীও। ছোটগল্প ও উপন্যাস উভয় শাখাতেই তার ছিল অবাধ বিচরণ। সাংবাদিক হিসেবেও রাহাত খানের অবদান উল্লেখযোগ্য। ষাটের দশক থেকে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন। বিশিষ্ট এ সাংবাদিক ও সাহিত্যিকের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, রাজনৈতিক দলের নেতারা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-সংগঠনসহ বিশিষ্টজনরা।

বিজনেস আওয়ার/২৯ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: