ঢাকা , মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লেনদেন বাড়লেও সূচকে মিশ্রাবস্থা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • 31

মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একটি বাদে বাকী চার ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দুই স্টকেই লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে। ডিএসইর লেনদেন বেড়ে সাড়ে সাতশ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। আর সিএসইর লেনদেন বেড়ে সাড়ে ১৭ কোটি টাকার ঘরে এসেছে।

লেনদেন বৃদ্ধি ও সূচক কমার প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবারে ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিন বিক্রেতার চাপ ক্রেতার চেয়ে বেশি ছিল। একই অবস্থা ছিল সিএসইতে। লেনদেন বৃদ্ধিতেও ডিএসইতে ১৩৩টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ৪৩টির বেড়েছে। সিএসইতে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ৩৭টির বেড়েছে।

আরও বলেন, চলতি বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারের লেনদেন ছিল মন্দা। একই সঙ্গে সূচকে ছিল পতন। সময়ে পালাক্রমে বাজার সেই মন্দা লেনদেন থেকে বেড়িয়ে এসেছে । বছরের শুরুর ডিএসইর দেড়শ কোটি টাকার লেনদেন বর্তমানে সাড়ে ৭শ কোটি টাকার কাছাকাছিতে চলে এসেছে। লেনদেন বৃদ্ধির একই অবস্থা সিএসইতেও।

লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি সূচক উত্থান জরুরী জানিয়ে তারা বলেন, বর্তমানে লেনদেন বৃদ্ধি কেবল শেয়ার বিক্রির কারনে হয়েছে। এই বিক্রির ফলে অধিকাংশ কোম্পানির দর কমেছে। সামনে সূচক আরও পতন হবে, ভেবে ভয়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রিতে ঝুঁকছেন। এটা বাজারের জন্য মন্দা বার্তা।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, রবিবার ডিএসইতে ৭৫২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬৮৭ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট ও ডিএসইএস সূচক ৫ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রেমে ২ হাজার ২২৬ দশমিক ২৬ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৩৬৮ দশমিক ২০ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪৩টি এবং কমেছে ১৩৩টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৭১টির। এদিন ডিএসইতে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন জেনেক্স ইনফোসিস ১০১ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ২৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা, শাইনপুকুর সিরামিক ২৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা, আমরা নেটওয়ার্ক ২৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ইস্টার্ন হাউজিং ২৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা, বসুন্ধরা পেপার ২৩ কোটি ৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশন ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং জেমিনি সী ১৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে, সিএসইতে রবিবার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৭টি, কমেছে ৬৩টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৭৫টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৮৬ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৪৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স সূচক ২ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৩২ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৬০ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে এবং ১১ হাজার ১৪১ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক ১ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে আইপিডিসির শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন আইপিডিসি ৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনালী পেপার ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, শাইনপুকুর সিরামিক ১ কোটি ১২ লাখ টাকা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ৯২ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ৮৩ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ৫৬ লাখ টাকা, বসুন্ধরা পেপার ৫৫ লাখ টাকা, বেঙ্গল ইউন্ডসর ৫৩ লাখ টাকা, আইটিসি ৪২ লাখ টাকা এবং ওরিয়ন ফার্মার ৩৬ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

বিজনেস আওয়ার/৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

লেনদেন বাড়লেও সূচকে মিশ্রাবস্থা

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একটি বাদে বাকী চার ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দুই স্টকেই লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে। ডিএসইর লেনদেন বেড়ে সাড়ে সাতশ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। আর সিএসইর লেনদেন বেড়ে সাড়ে ১৭ কোটি টাকার ঘরে এসেছে।

লেনদেন বৃদ্ধি ও সূচক কমার প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবারে ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিন বিক্রেতার চাপ ক্রেতার চেয়ে বেশি ছিল। একই অবস্থা ছিল সিএসইতে। লেনদেন বৃদ্ধিতেও ডিএসইতে ১৩৩টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ৪৩টির বেড়েছে। সিএসইতে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ৩৭টির বেড়েছে।

আরও বলেন, চলতি বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারের লেনদেন ছিল মন্দা। একই সঙ্গে সূচকে ছিল পতন। সময়ে পালাক্রমে বাজার সেই মন্দা লেনদেন থেকে বেড়িয়ে এসেছে । বছরের শুরুর ডিএসইর দেড়শ কোটি টাকার লেনদেন বর্তমানে সাড়ে ৭শ কোটি টাকার কাছাকাছিতে চলে এসেছে। লেনদেন বৃদ্ধির একই অবস্থা সিএসইতেও।

লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি সূচক উত্থান জরুরী জানিয়ে তারা বলেন, বর্তমানে লেনদেন বৃদ্ধি কেবল শেয়ার বিক্রির কারনে হয়েছে। এই বিক্রির ফলে অধিকাংশ কোম্পানির দর কমেছে। সামনে সূচক আরও পতন হবে, ভেবে ভয়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রিতে ঝুঁকছেন। এটা বাজারের জন্য মন্দা বার্তা।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, রবিবার ডিএসইতে ৭৫২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬৮৭ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট ও ডিএসইএস সূচক ৫ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রেমে ২ হাজার ২২৬ দশমিক ২৬ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৩৬৮ দশমিক ২০ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪৩টি এবং কমেছে ১৩৩টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৭১টির। এদিন ডিএসইতে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন জেনেক্স ইনফোসিস ১০১ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ২৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা, শাইনপুকুর সিরামিক ২৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা, আমরা নেটওয়ার্ক ২৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ইস্টার্ন হাউজিং ২৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা, বসুন্ধরা পেপার ২৩ কোটি ৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশন ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং জেমিনি সী ১৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে, সিএসইতে রবিবার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৭টি, কমেছে ৬৩টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৭৫টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৮৬ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৪৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স সূচক ২ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৩২ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৬০ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে এবং ১১ হাজার ১৪১ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক ১ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে আইপিডিসির শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন আইপিডিসি ৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনালী পেপার ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, শাইনপুকুর সিরামিক ১ কোটি ১২ লাখ টাকা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ৯২ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ৮৩ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ৫৬ লাখ টাকা, বসুন্ধরা পেপার ৫৫ লাখ টাকা, বেঙ্গল ইউন্ডসর ৫৩ লাখ টাকা, আইটিসি ৪২ লাখ টাকা এবং ওরিয়ন ফার্মার ৩৬ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

বিজনেস আওয়ার/৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: