বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার মামলায় বুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম ডিবি পুলিশের দেওয়া সম্পূরক চার্জশিট গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
এ মামলার মোট ১৬ জন আসামির মধ্যে অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধর পলাতক থাকায় আদালত তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ৯ মার্চ পরোয়ানা সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- প্রশ্নফাঁসের হোতা আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে-আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাবের ওরফে জাহিদ, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহমেদ বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রবিউল ইসলাম রবি।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আহমেদ আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। যেখানে ৩৪ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলেও ১৮ জনের ঠিকানা না পাওয়ায় ১৬ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে নিখিল ধরকে ‘পলাতক’ দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
সিএমএম আদালতে বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রণপ কুমার এসব তথ্য জানান।
গত বছরের ১০ নভেম্বর এ তদন্ত কর্মকর্তা অধ্যাপক নিখিলকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে ১৫ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছিলেন, আদালতে দেওয়া আসামি দেলোয়ারের জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সন্দিগ্ধ আসামি ড. নিখিল রঞ্জন ধরের নামে মামলার ঘটনার বিষয়ে জড়িত থাকার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এজন্য তার নামে মামলার দায় প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি আদালত অভিযোগপত্রে নিখিলের নাম বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একইসঙ্গে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত ৩০ জানুয়ারি এ সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন। ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি এ পরীক্ষা নেয়। পরীক্ষার পর চাকরিপ্রত্যাশীদের অনেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তোলেন।
বিজনেস আওয়ার/০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ