আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তবে সময় গড়ানোয় তাদের বেঁচে থাকার আশা কমছে। দেশ দুইটিতে ঘটনার ছয়দিন পরও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৬০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় মারা গেছে, চার হাজার ৫০০ জন। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৮১ জনে।
এদিকে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ছয়দিন পর তুরস্কের হাতায় থেকে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ধসে পড়া একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ১৪৯ ঘণ্টা আটকা ছিলেন।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর থেকেই জীবিতদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। ঘটনার চার-পাঁচদিন পরও দুই দেশেই বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী কয়েক মাস এমনকি বছরজুড়ে হতে পারে মৃদু ও মাঝারি পাল্লার কম্পন। এতে ভয়াবহ দুর্যোগ ও মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।
ঘটনার ছয়দিন পর অপ্রত্যাশিতভাবে যাকে উদ্ধার করা হয়েছে তার নাম মোস্তফা সারিগুল। বয়স ৩৫ বছর।
অন্যদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে দোহা ছাড়েন তিনি।
টুইটারে প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা গেছে, ইস্তাম্বুলের ভাদেত্তিন প্রাসাদে আল থানিকে স্বাগত জানান এরদোয়ান।
বিজনেস আওয়ার/১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ