ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বিভীষীকাময় সেই ঈদের কথা ভোলার নয়’

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
  • 37

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে ঠিক ঈদ উল আজহার আগের রাতে কানাডার কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। আর এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে হয়েছিল টাইগারদের। ১৭ বছর আগে ঠিক এমনই নিরানন্দের এক ঈদ কেটেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের।

প্রায় দেড় যুগ পর কানাডার কাছে সেই অপ্রত্যাশিত পরাজয় ও ঈদ আনন্দ মাটি হওয়ার তিক্ত স্মৃতিচারণ করলেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

সোমবার (২৫ মে) ঈদ উল ফিতরের রাতে ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব লাইভে ক্রিকেটারদের ঈদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ ২০০৩ সালের কোরবানির ঈদকে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃখ-যন্ত্রণার ঈদ বলে অভিহিত করেছেন।

দিনটি ছিল ১১ই ফেব্রুয়ারি। ডাবলিনের কিংসমিডে আইসিসির সহযোগী সদস্য কানাডাকে ১৮০ রানে আটকে রেখেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ১২০ রানে। কানাডার কাছে ৬০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।

খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, আমার খেলোয়াড়ি জীবনে একটি ঈদের কথা কখনও ভুলব না। দুঃখের একটি ঈদ ছিল সেটা। ঠিক ঈদের আগের রাতে আমরা কানাডার কাছে হেরে গিয়েছিলাম। একদম অপ্রত্যাশিত এক পরাজয় ছিল। আমরা কল্পনাও করিনি যে হারব। কষ্টে মুষড়ে পড়েছিল পুরো দল।

তিনি বলেন, মনের দুঃখে প্রায় পুরো দল পরদিন ঈদের নামাজও পড়তে যায়নি। যতদূর মনে পড়ে সুমন আমি আর মঞ্জু গিয়েছিলাম ঈদের নামাজ পড়তে। সেখানে গিয়ে অবশ্য অবাক হয়ে যাই। বিশাল নামাজের জামাত। অনেক মানুষ এসেছিলেন। তাদের বেশিরভাগই আমাদের স্বদেশি।

সত্যি অত বিশাল জামাত দেখে অল্প সময়ের জন্য হলেও একটু অন্যরকম লেগেছিল। কিন্তু মনের দুঃখ-কষ্ট কাটেনি। সারাদিন মন খারাপ ছিল। কারও মনে এতটুকু আনন্দ ছিল না। একে তো দেশের বাইরে, তার ওপর অমন এক অপত্যাশিত পরাজয়- সব মিলে হতাশা ও দুঃখের এক ঈদ হয়ে আছে সেটা। যা ভুলব না কখনও।

বিজনেস আওয়ার/২৬ মে, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘বিভীষীকাময় সেই ঈদের কথা ভোলার নয়’

পোস্ট হয়েছে : ১২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে ঠিক ঈদ উল আজহার আগের রাতে কানাডার কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। আর এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে হয়েছিল টাইগারদের। ১৭ বছর আগে ঠিক এমনই নিরানন্দের এক ঈদ কেটেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের।

প্রায় দেড় যুগ পর কানাডার কাছে সেই অপ্রত্যাশিত পরাজয় ও ঈদ আনন্দ মাটি হওয়ার তিক্ত স্মৃতিচারণ করলেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

সোমবার (২৫ মে) ঈদ উল ফিতরের রাতে ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব লাইভে ক্রিকেটারদের ঈদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ ২০০৩ সালের কোরবানির ঈদকে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃখ-যন্ত্রণার ঈদ বলে অভিহিত করেছেন।

দিনটি ছিল ১১ই ফেব্রুয়ারি। ডাবলিনের কিংসমিডে আইসিসির সহযোগী সদস্য কানাডাকে ১৮০ রানে আটকে রেখেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ১২০ রানে। কানাডার কাছে ৬০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।

খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, আমার খেলোয়াড়ি জীবনে একটি ঈদের কথা কখনও ভুলব না। দুঃখের একটি ঈদ ছিল সেটা। ঠিক ঈদের আগের রাতে আমরা কানাডার কাছে হেরে গিয়েছিলাম। একদম অপ্রত্যাশিত এক পরাজয় ছিল। আমরা কল্পনাও করিনি যে হারব। কষ্টে মুষড়ে পড়েছিল পুরো দল।

তিনি বলেন, মনের দুঃখে প্রায় পুরো দল পরদিন ঈদের নামাজও পড়তে যায়নি। যতদূর মনে পড়ে সুমন আমি আর মঞ্জু গিয়েছিলাম ঈদের নামাজ পড়তে। সেখানে গিয়ে অবশ্য অবাক হয়ে যাই। বিশাল নামাজের জামাত। অনেক মানুষ এসেছিলেন। তাদের বেশিরভাগই আমাদের স্বদেশি।

সত্যি অত বিশাল জামাত দেখে অল্প সময়ের জন্য হলেও একটু অন্যরকম লেগেছিল। কিন্তু মনের দুঃখ-কষ্ট কাটেনি। সারাদিন মন খারাপ ছিল। কারও মনে এতটুকু আনন্দ ছিল না। একে তো দেশের বাইরে, তার ওপর অমন এক অপত্যাশিত পরাজয়- সব মিলে হতাশা ও দুঃখের এক ঈদ হয়ে আছে সেটা। যা ভুলব না কখনও।

বিজনেস আওয়ার/২৬ মে, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: