বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর ফলে কোম্পানিটি চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে ১৭৪ কোটি টাকা বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিতরন হবে। অন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ সহ কোম্পানিটি ২০২২ সালে মোট ৪৮ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করলো। গত বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞতির মাধ্যমে কোম্পানিটির সিনিয়র ম্যানেজার (জনসংযোগ কর্মকর্তা) তৌাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছে।
২০২২ লাফার্জহোলসিমেরর জন্য একটি দারুন বছর ছিল জানিয়ে ওই বিজ্ঞতিতে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহি ইকবাল চৌধুরী বলেন, এই বছর আমরা মুনাফা এবং তারল্য সংগ্রহ উভয় ক্ষেত্রেই রেকর্ড ফলাফল অর্জনে সক্ষম হয়েছি। আমি সকল কর্মীকে ধন্যবাদ জানাই, যারা এটাকে সম্ভব করেছে। আমরা সুপারক্রিট প্লাস নামে নতুন টেকসই সিমেন্ট ব্র্যান্ড বাজারে এনেছি, অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসার প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছি, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট এবং নতুন চ্যানেলগুলো সম্প্রসারিত করেছি।
টেকসই নতুন নতুন পণ্য বাজারে আনা অব্যহত জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে একটি কার্বন নিউট্রাল কোম্পানি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে আমাদের টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি জিওসাইকেল অগ্রনী ভূমিকা রেখে চলেছে। আমরা ২০২৩ সাল নিয়ে অশাবাদী, নতুন নতুন উদ্ভাবনী ও টেকসই পণ্য বাংলাদেশের বাজারে আনা অব্যহত থাকবে। যা বাজারে অন্যদের চেয়ে আমাদের আলাদা করবে।
বিজ্ঞতিতে আরও জানানো হয়, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে আয়কর পূর্ববর্তী পরিচালন মুনাফা ২৩ শতাংশ বেড়ে ৫৯৭ কোটি টাকা হয়েছে। নেট বিক্রি ১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা হয়েছে। যা ২০২১ সালে ছিল ২ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩ দশমিক ৩৪ টাকা থেকে বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ৩ দশমিক ৮৩ টাকা। ব্যয় সংকোচন নীতি ২০২২ সালেও অব্যহত ছিল।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালে প্রতিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে ১ দশমিক ৫ টাকা চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর ফলে লাফার্জহোলসিম চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে ১৭৪ কোটি ২০ লাখ ৬১ হাজার টাকা লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিতরন হবে। অন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ সহ কোম্পানিটি ২০২২ সালে মোট ৪৮ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করলো।
অনিশ্চিত ভূ-রাজনীতির কারনে ২০২৩ সাল আরেকটি চ্যালেঞ্জিং বছর হতে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ এই বছরও অব্যাহত থাকবে। লাফার্জহোলসিম প্রায় দুই দশক ধরে দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোম্পানিটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সিমেন্ট কারখানা ও তিনটি গ্রাইন্ডিং স্টেশন স্থাপনে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করেছে। যা সিমেন্ট খাতে এ দেশে সর্বোচ্চ বিদেশী বিনিয়োগ। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক হোলসিম গ্রæপ ও স্পেন ভিত্তিক সিমেন্টোস মলিন্স গ্রুপের যৌথ উদ্যোগ লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও সেরা কর্মীদের সাহায্যে কোম্পানিটি বিশ্বমানের সিমেন্ট বাংলাদেশে উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের নির্মাণ খাতে সিমেন্টের চাহিদা মেটাচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে কোম্পানিটি। উদ্ভাবনী ক্ষমতার কারনে নির্মাণ খাতে লাফার্জহোলসিম একটি বিশ্বস্ত নাম। বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পগুলোতে বিশেষায়িত সিমেন্ট সরবরাহ করছে কোম্পানিটি।
বিজনেস আওয়ার/৩ মার্চ, ২০২৩/এমএজেড