বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : এইচ এস কোড জটিলতা নিরসনের ওপরে জোর দিয়ে পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি রাখেন তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা। অবশ্য এই করহার আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখার দাবি তাদের।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় তারা এসব দাবি রাখেন। এছাড়া বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) নেতারা এ আলোচনায় অংশ নেয়। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তৈরি পোশাক সেক্টরকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য যতটুকু করার আমি করবো জানিয়ে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ভ্যাট অনলাইন, বন্ড অটোমেশন, এসাইকুড ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সার্ভিস আরও ভালো হচ্ছে।
ভ্যাট, কর কমানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু কিছু জিনিস আমাদের মেনে নিতে হয়। যেমন কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি- এগুলো আমাদের মেনে নিতে হয়। এটাকে (ভ্যাট, কর) ওই দৃষ্টিতে দেখেন। রেভিনিউ আমাদের দরকার, কর জিডিপি বাড়ানো দরকার।
রপ্তানির বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার ওপর আয়কর হার ১০ শতাংশ থেকে ০ শতাংশ করা, গ্রিন কারখানার জন্য করপোরেট করহার ১০ শতাংশ করান দাবি রাখেন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। অ্যাসেসমেন্ট করার সময় কর আরোপকালে অগ্রহণযোগ্য খরচ ও অন্যান্য আয়ের ক্ষেত্রে করহার ১২ শতাংশ করার দাবি বিজিএমইএর।
সংগঠনটির অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৫ পিস ডামি পোশাক বিনা শুল্কে আমদানির অনুমোদন দেওয়া, রপ্তানিকে প্রতিযোগি করতে পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট ১২ ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট অব্যাহতি, এইচ এস কোড জটিলতা নিরসন, ওয়াশিং-ড্রাই মেশিন ও অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র আমদানিতে শুল্কছাড়।
বিকেএমইর অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান সমূহকে শূন্য ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া, সোলার প্যানেল ও ইটিপি স্থাপনে আমদানি করা রাসায়নিকের শুল্ক ও মূসক শূন্য শতাংশ করা।
বিটিএমইএর দাবির মধ্যে রয়েছে রিসাইকেলড ফাইবার, ম্যানমেইড ফাইবারসহ সব প্রকারের আমদানি পর্যায়ে যাবতীয় শুল্ক, মূসক ব্যতীত আমদানির সুযোগ, সব ধরনের পাওয়ার লুমে উৎপাদিত কৃত্রিম আশের সুতার তৈরি ফেব্রিকসের ওপর মূসক অব্যাহতি।
বিজনেস আওয়ার/৭ মার্চ, ২০২৩/এমএজেড