ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
  • 40

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ঝিনাইদহে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুল হালিমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শৈলকূপা উপজেলার দেবীনগর গ্রামের ছাত্তার মণ্ডলের ছেলে আব্দুল হালিম ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ববিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ বাড়ির পাশের মেহগনি বাগানে ফেলে রাখে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ববিতা খাতুনের মা সালেহা বাদী হয়ে পরের দিন ২০ ডিসেম্বর শৈলকূপা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধান আসামি আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এছাড়া হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় আব্দুল হালিমের বাবা ছাত্তার মণ্ডল ও ভাই দলিল মণ্ডলকে চার্জশিট থেকে বাদ দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।

ববিতা খাতুনের মা ও মামলার বাদী ষাটোর্ধ্ব সালেহা বেগম বলেন, আমার একমাত্র মেয়েকে নির্মমভাবে যে মেরেছে তার বিচার আল্লাহ করেছে। আমি খুব খুশি। তবে ওই পিশাচকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। আমি মরার আগে তার বিচার দেখে যেতে চাই।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ও সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট বজলুর রশীদ বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি। এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে বার্তা পৌঁছাবে। এরকম কাজ করতে যে কেউ ভয় পাবে।

বিজনেস আওয়ার/১৪ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

পোস্ট হয়েছে : ০৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ঝিনাইদহে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুল হালিমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শৈলকূপা উপজেলার দেবীনগর গ্রামের ছাত্তার মণ্ডলের ছেলে আব্দুল হালিম ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ববিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ বাড়ির পাশের মেহগনি বাগানে ফেলে রাখে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ববিতা খাতুনের মা সালেহা বাদী হয়ে পরের দিন ২০ ডিসেম্বর শৈলকূপা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধান আসামি আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এছাড়া হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় আব্দুল হালিমের বাবা ছাত্তার মণ্ডল ও ভাই দলিল মণ্ডলকে চার্জশিট থেকে বাদ দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।

ববিতা খাতুনের মা ও মামলার বাদী ষাটোর্ধ্ব সালেহা বেগম বলেন, আমার একমাত্র মেয়েকে নির্মমভাবে যে মেরেছে তার বিচার আল্লাহ করেছে। আমি খুব খুশি। তবে ওই পিশাচকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। আমি মরার আগে তার বিচার দেখে যেতে চাই।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ও সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট বজলুর রশীদ বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি। এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে বার্তা পৌঁছাবে। এরকম কাজ করতে যে কেউ ভয় পাবে।

বিজনেস আওয়ার/১৪ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: