বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের একাধিক খাতের ৫২টি দুর্নীতির ফিরিস্তি লিখিত আকারে জনগণের সামনে তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সেবা খাত, বিদ্যুৎ খাত, অর্থনীতি, মেগা প্রজেক্ট, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে দুর্নীতিসহ শেয়ারবাজারের টাকা লুট এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থ পাচার, উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্প থেকে টাকা নয়ছয় করাসহ পি কে হালদারের অর্থ পাচারের কেলেঙ্কারির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে দেশ ফোকলা হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারতে একটা স্লোগান ছিল—অলি-গলি ম্যায় শোর হ্যায়, অমুক নেতা চোর হ্যায়, নাম বললাম না। আজকে আমাদের স্লোগান হচ্ছে, আওয়ামী লীগের মূলনীতি—ভোট চুরি, টাকা পাচার আর দুর্নীতি। এরা ভোট চোর, বাংলাদেশের অর্থনীতির চোর এদেরকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই সরকার যারা বিনা নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, যারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে অন্যায়ভাবে তাদেরকে জনগণের শক্তি দিয়ে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে। আজকে তাই সমস্ত দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং সরকার পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আযম খান, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, নাসির উদ্দিন অসীম, কামরুজ্জামান রতন, রকিবুল ইসলাম বকুল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, রওনাকুল ইসলাম টিপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাঈদ সোহরাব, মহিলাদলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, রাজীব আহসান, মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, জাসাসের হেলাল খান, ড্যাবের অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল এবং সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কাদের গণি চৌধুরী ও অধ্যাপক লুতফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীতে বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন দল ও জোট আলাদা সমাবেশ করেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর জানায়, ঢাকা ছাড়াও সব মহানগরে বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। এতে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।
বিজনেস আওয়ার/১৯ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ