ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যক্তি স্বার্থে সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করবেন না

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য পুঁজিবাজারকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। এজন্য সবার নিঃশর্ত সহযোগিতা চাই। শেয়ারবাজারে আমাদের প্রত্যেকেরই সামাজিক মর্যাদা আছে। ব্যক্তি স্বার্থের কারনে এই মর্যাদা নষ্ট করবেন না।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান।

দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য বাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে এগিয়ে আসতে হব এমন মন্তব্য করে হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আমাদের একটি মাত্র উদ্দেশ্য আর সেটি হলো পুঁজিবাজারকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। এজন্য আপনাদের নিঃশর্ত সহযোগিতা চাই। আমরা যারা এখানে আছি আমাদের প্রত্যেকেরই একটি সামাজিক মর্যাদা আছে। এই সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করে আমরা ব্যক্তি স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠানে কোনো কিছু করার চেষ্টা করবো না। আমি ব্রোকারেজ হাউজের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। তাই ব্রোকারেজ হাউজ এবং ডিএসই এই দুই প্রান্তের মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে। আমরা সকল সমস্যা এক সাথে বসে সমাধান করতে চাই। আমরা কারো দোষ খুজতে বা সমালোচনা করতে চাই না। আমার যে দায়িত্ব রয়েছে সেটুকু সঠিকভাবে পালন করতে পারছি কিনা সেটাই হলো আমার মূল লক্ষ্য। পুঁজিবাজারের প্রধান স্টেকহোল্ডার হলো ব্রোকারেজ হাউজ। সেই ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন আপনারা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগে উৎসাহিত হন।

আরও বলেন, উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক বিবেচনায় দেশের পুঁজিবাজার এমন থাকতে পারে না। সকল পক্ষের অংশীদারিত্বমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। যথোপোযুক্ত উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের পুঁজিবাজারের পরিবর্তন আনতে হবে। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার। সবার সহযোগিতায় আমরা বাজারের উন্নয়ন করতে চাই। অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, পুঁজিবাজার পিছিয়ে থাকতে পারে না।

হাসান বাবু বলেন, বিশ্বায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশের ফলে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রেক্ষাপট ও গতিপ্রকৃতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। সেই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে ডিএসইও অবকাঠামোগতভাবে এবং প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যাবে। কোনো দিক থেকে আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। এজন্য আমরা সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে একটি গঠনমূলক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে বসবো। আমরা আশাবাদী গঠনমূলক কর্ম পরিকল্পনাই বয়ে আনবে আগামীদিনের সফলতা।

সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. সায়েদুর রহমান বলেন, বাজারে বর্তমানে বেশকিছু সমস্যা কাজ করছে। এর মধ্যে এক্সপোজার লিমিট, মাল্টিপল ট্যাক্স, ফ্লোর প্রাইস, ভালো ভালো কোম্পানি বাজারে না আসা ইত্যাদি বিষয় অন্যতম। আমরা আশা করি, বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর সহ সব রেগুলোটর সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে এক সাথে কাজ করবে। আমাদের সহযোগিতা সবসময় আপনাদের সাথে থাকবে।

বিজনেস আওয়ার/৩১ মার্চ, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ব্যক্তি স্বার্থে সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করবেন না

পোস্ট হয়েছে : ১২:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য পুঁজিবাজারকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। এজন্য সবার নিঃশর্ত সহযোগিতা চাই। শেয়ারবাজারে আমাদের প্রত্যেকেরই সামাজিক মর্যাদা আছে। ব্যক্তি স্বার্থের কারনে এই মর্যাদা নষ্ট করবেন না।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান।

দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য বাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে এগিয়ে আসতে হব এমন মন্তব্য করে হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আমাদের একটি মাত্র উদ্দেশ্য আর সেটি হলো পুঁজিবাজারকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। এজন্য আপনাদের নিঃশর্ত সহযোগিতা চাই। আমরা যারা এখানে আছি আমাদের প্রত্যেকেরই একটি সামাজিক মর্যাদা আছে। এই সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করে আমরা ব্যক্তি স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠানে কোনো কিছু করার চেষ্টা করবো না। আমি ব্রোকারেজ হাউজের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। তাই ব্রোকারেজ হাউজ এবং ডিএসই এই দুই প্রান্তের মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে। আমরা সকল সমস্যা এক সাথে বসে সমাধান করতে চাই। আমরা কারো দোষ খুজতে বা সমালোচনা করতে চাই না। আমার যে দায়িত্ব রয়েছে সেটুকু সঠিকভাবে পালন করতে পারছি কিনা সেটাই হলো আমার মূল লক্ষ্য। পুঁজিবাজারের প্রধান স্টেকহোল্ডার হলো ব্রোকারেজ হাউজ। সেই ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন আপনারা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগে উৎসাহিত হন।

আরও বলেন, উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক বিবেচনায় দেশের পুঁজিবাজার এমন থাকতে পারে না। সকল পক্ষের অংশীদারিত্বমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। যথোপোযুক্ত উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের পুঁজিবাজারের পরিবর্তন আনতে হবে। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার। সবার সহযোগিতায় আমরা বাজারের উন্নয়ন করতে চাই। অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, পুঁজিবাজার পিছিয়ে থাকতে পারে না।

হাসান বাবু বলেন, বিশ্বায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশের ফলে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রেক্ষাপট ও গতিপ্রকৃতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। সেই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে ডিএসইও অবকাঠামোগতভাবে এবং প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যাবে। কোনো দিক থেকে আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। এজন্য আমরা সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে একটি গঠনমূলক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে বসবো। আমরা আশাবাদী গঠনমূলক কর্ম পরিকল্পনাই বয়ে আনবে আগামীদিনের সফলতা।

সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. সায়েদুর রহমান বলেন, বাজারে বর্তমানে বেশকিছু সমস্যা কাজ করছে। এর মধ্যে এক্সপোজার লিমিট, মাল্টিপল ট্যাক্স, ফ্লোর প্রাইস, ভালো ভালো কোম্পানি বাজারে না আসা ইত্যাদি বিষয় অন্যতম। আমরা আশা করি, বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর সহ সব রেগুলোটর সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে এক সাথে কাজ করবে। আমাদের সহযোগিতা সবসময় আপনাদের সাথে থাকবে।

বিজনেস আওয়ার/৩১ মার্চ, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: