ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অবৈধ ঘোষণা, ৫টিতে ভর্তি বন্ধ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
  • 48

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশের তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অবৈধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একই সঙ্গে আরও পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) ইউজিসির পরিচালক ওমর ফারুক সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়া শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতির (চ্যান্সেলর) নিয়োগ করা ভিসি (উপাচার্য) রয়েছেন ৭০টিতে। বাকি ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোক্তাদের নিয়োগ করা উপাচার্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তবে ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা হয়নি। বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১১০টি। এর আটটি এখনও শিক্ষাক্রম শুরু করতে পারেনি।

‘অবৈধ’ ঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা। এছাড়া ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি।

ইবাইস, আমেরিকা বাংলাদেশ এবং ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা সম্পর্কে ইউজিসি বলেছে, এ তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। ফলে ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ করা ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই। অর্থাৎ বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।

এর ফলে এ তিন ইউনিভার্সিটির একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও ফলাফল এবং একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বলে ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি বলেছে, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সাল থেকে চ্যান্সেলর কর্তৃক নিযুক্ত ভিসি এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই। চ্যান্সেলর নিয়োগ করা বৈধ কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতি, অপ্রতুল শিক্ষক সংখ্যা, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব, শিক্ষা সহায়ক ক্যাম্পাসের অনুপস্থিতি, লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় পাঠ্যবইয়ের অপ্রতুলতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির সব কারিকুলাম মেয়াদোত্তীর্ণ। ফলে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি।

নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় ইউজিসি কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ১ জানুয়ারি থেকে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ চার প্রতিষ্ঠান হলো স্টামফোর্ড, ভিক্টোরিয়া, আশা এবং প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি।

এছাড়া ইবাইস, ব্রিটানিয়া এবং সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা বিচারাধীন বলে ইউজিসি জানিয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১ এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

তিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অবৈধ ঘোষণা, ৫টিতে ভর্তি বন্ধ

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশের তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অবৈধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একই সঙ্গে আরও পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) ইউজিসির পরিচালক ওমর ফারুক সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়া শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতির (চ্যান্সেলর) নিয়োগ করা ভিসি (উপাচার্য) রয়েছেন ৭০টিতে। বাকি ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোক্তাদের নিয়োগ করা উপাচার্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তবে ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা হয়নি। বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১১০টি। এর আটটি এখনও শিক্ষাক্রম শুরু করতে পারেনি।

‘অবৈধ’ ঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা। এছাড়া ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি।

ইবাইস, আমেরিকা বাংলাদেশ এবং ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা সম্পর্কে ইউজিসি বলেছে, এ তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। ফলে ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ করা ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই। অর্থাৎ বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।

এর ফলে এ তিন ইউনিভার্সিটির একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও ফলাফল এবং একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বলে ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি বলেছে, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সাল থেকে চ্যান্সেলর কর্তৃক নিযুক্ত ভিসি এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই। চ্যান্সেলর নিয়োগ করা বৈধ কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতি, অপ্রতুল শিক্ষক সংখ্যা, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব, শিক্ষা সহায়ক ক্যাম্পাসের অনুপস্থিতি, লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় পাঠ্যবইয়ের অপ্রতুলতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির সব কারিকুলাম মেয়াদোত্তীর্ণ। ফলে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি।

নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় ইউজিসি কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ১ জানুয়ারি থেকে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ চার প্রতিষ্ঠান হলো স্টামফোর্ড, ভিক্টোরিয়া, আশা এবং প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি।

এছাড়া ইবাইস, ব্রিটানিয়া এবং সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা বিচারাধীন বলে ইউজিসি জানিয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১ এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: