ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জন্ম থেকেই এক সঙ্গে ঠান্ডু মিয়া ও মন্টু মিয়া!

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩
  • 92

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ঝিনাইদহের যমজ দুই ভাই হানজিলার রহমান ওরফে ঠান্ডু মিয়া ও তানজিলার রহমান ওরফে মন্টু মিয়া। এই দুই ভাইয়ের জন্মের ব্যবধান ছিল মাত্র ১০ মিনিট।

জন্মের পর থেকে একত্রে বেড়ে ওঠা তাদের। পড়ালেখাও করেছেন একই সঙ্গে। পরীক্ষার হলে দুজন আলাদা আলাদা ছিটে বসেও দুজনের নম্বর ছিল সমান। পড়ালেখা শেষে চাকরিও পেয়েছেন একই সঙ্গে। একই কর্মস্থলে দুই ভাই যোগ দিয়েছেন একই দিনে আবার চাকরি থেকে অবসরেও গেছেন একসঙ্গে। দুই ভাই পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছিলেন

ঠান্ডু মিয়া ও মন্টু মিয়ার বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের বানিয়াকান্দর গ্রামে। চাকরি থেকে অবসরে যাবার পর দুই ভাই মিলে বাড়িতেই তৈরি করেছেন মিনি পার্ক। দিনের বেশির ভাগ সময় তাদের কাটে ওই মিনি পার্কে। বাবা বিশারত আলী অনেক আগেই মারা গেছেন। মা রাহেলা নেছা এখনো বেঁচে আছেন। তারা তিন বোন আর দুই ভাই। ঠান্ডু মিয়ার দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। মন্টু মিয়ার তিন মেয়ে।

তাদের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই ভাই বাড়িতে তৈরিকৃত মিনি পার্কে কাজ করছেন। এক ভাই কোদাল হাতে গাছের গোড়া কোপাচ্ছেন, অন্যভাই নিড়ানি দিয়ে গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। এক সঙ্গে বসে দুই ভাই পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে গল্প করছেন। আবার দুই ভাই একই সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান ও ছড়া বলছেন। দুই ভাইয়ের চেহারা ও পোশাকের কোনো পার্থক্য নেই। তাই আলাদা করে চেনা দুষ্কর।

ঠান্ডু ও মন্টু মিয়া জানান, ১৯৬২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ১০ মিনিটের ব্যবধানে জন্ম হয় তাদের। অনেক সময় দুই ভাইকে গুলিয়ে ফেলেন পরিবার সদস্যরাই। এ কারণে জীবনে অনেক মজার ঘটনা ঘটেছে। কেউ জানতে চাইলে জীবনের এসব গল্পের ঝাঁপি খুলে বসেন দুই ভাই।

গ্রামের বাসিন্দা রমজান আলী বলেন, ঠান্ডু ও মন্টু মিয়া দুই ভাইয়ের অনেক মিল। অনেক যমজ রয়েছে, তবে এতটা মিল কোথাও দেখা যায় না। তাদের মধ্যে কখনো ঝগড়া হতে দেখিনি। তারা ছোট থেকেই এখন পর্যন্ত সবসময় একসঙ্গে থাকেন।

যমজ ভাইদের মা রাহেলা নেছা বলেন, ছোট থেকেই দুই ভাইয়ের মধ্যে অনেক মিল। তারা দুই ভাই কোনো কাজ করতে গেলে দুজনে পরামর্শ করে কাজগুলো করে। ওরা যখন বাড়ির বাইরে থাকে, বাড়িতে না আসা পর্যন্ত আমার খুব চিন্তা হয়। কাগজ কলমে ওদের নাম হানজিলার ও তানজিলা, আর ডাক নাম ঠান্ডু ও মন্টু। দুই ভাইকে একসঙ্গে দেখে আমার খুব ভালো লাগে।

তানজিলার রহমান ওরফে মন্টু মিয়া বলেন, ছোট থেকেই একই রকম পোশাক পড়েছি। একই স্কুলে পড়েছি, কলেজে পড়েছি, বিএ পাস করেছি সব একই সঙ্গে। চাকরিও পেয়েছি একই দিনে একই সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠনে। আবার চাকরি থেকে অবসরেও গেছি একই সঙ্গে। পড়ালেখা শেষে আমরা চার বছর বাড়িতে কৃষিকাজ করি। এরপর ১৯৮৬ সালে দুজনই একসঙ্গে পরিসংখ্যান অধিদপ্তরে চাকরির আবেদন করি। চাকরিতে মৌখিক পরীক্ষার সময় ঠান্ডু পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসলে আমি ভেতরে যাই। আমাকে দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা বিস্মিত হয়ে জানতে চান, ‘এইমাত্রই তো সাক্ষাৎকার দিয়ে গেলেন, আবার কেন এসেছেন? তখন আমি বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। এরপর একই চিঠিতে দুই ভাইয়ের চাকরি হয়। ওই বছরের ৮ এপ্রিল ঢাকায় একসঙ্গে চাকরিতে যোগ দেই আমরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে একই অফিসে চাকরি করে জীবন কাটিয়েছি দুই ভাই। ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হিসেবে একসঙ্গে অবসরে গেছি। আমরা জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। দুই ভাই একই সঙ্গে হারিকেনের আলোই একটি বই পড়েছি। আমাদের ছোটবেলা এক সঙ্গেই কেটেছে।

হানজিলার রহমান ওরফে ঠান্ডু মিয়া বলেন, ১৯৬৭ সালে আমাদের দুজনকে কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন বাবা। এরপর আমরা প্রতি শ্রেণিতে ১ম থেকে তৃতীয় হয়েছি। এভাবে ১৯৭১ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে অটোপাস করি। এরপর ১৯৭২ সালে বেড়বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। বিদ্যালয়টি তখন নিম্নমাধ্যমিক ছিল। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় একটি বার্ষিক পরীক্ষায় দুই ভাই একই নম্বর পাই। এরপর বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আমাদের দুজনকে অফিস কক্ষে ডেকে আনেন। দুজনের সম্মতিতে প্রধান শিক্ষক ছোট ভাইকে প্রথম ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ওই সময় বেড়বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় এই স্কুলের রেফারেন্সে পাশের কোটচাঁদপুর উপজেলার আসাননগর কুল্লগাছা স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে ১৯৭৭ সালে দুই ভাই এসএসসি পাস করি। সেখানেও তাদের দুজনের প্রাপ্ত নম্বর ছিল একই। ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি ১৯৭৯ সালে। এরপর আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ পাস করি ১৯৮১ সালে। ৩৫ বছর চাকরি শেষ করে বাড়ির আঙ্গিনায় কিছু সবজি ও ফলের গাছ লাগানো চিন্তাভাবনা করি আমরা। এরপর দুই ভাই মিলে চিন্তা করি বিনোদনের জন্য কিছু করা যায় কিনা। তখন বাড়ির সঙ্গে থাকা ৬০ শতক জমিতে পার্ক করি। এখন পার্কে গাছের পরিচর্যা করেই সময় কাটে আমাদের।

৮নং বানিয়াকান্দর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু কাক্কা বলেন, গ্রামের আপন দুই যমজ ভাই তাদের ছোট থেকেই দেখে আসছি। একই রকম তাদের চেহারা, দেখে চেনার উপায় নেই কে কোনটা। তারা লেখাপড়া থেকে শুরু করে সবকিছু একই সঙ্গে করেছে। বাইরের কোন মানুষ প্রথমে দেখে চিনতে পারবে না কে ছোট কে বড়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মানুষের অভিযোগ নেই।

বিজনেস আওয়ার/৪এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জন্ম থেকেই এক সঙ্গে ঠান্ডু মিয়া ও মন্টু মিয়া!

পোস্ট হয়েছে : ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ঝিনাইদহের যমজ দুই ভাই হানজিলার রহমান ওরফে ঠান্ডু মিয়া ও তানজিলার রহমান ওরফে মন্টু মিয়া। এই দুই ভাইয়ের জন্মের ব্যবধান ছিল মাত্র ১০ মিনিট।

জন্মের পর থেকে একত্রে বেড়ে ওঠা তাদের। পড়ালেখাও করেছেন একই সঙ্গে। পরীক্ষার হলে দুজন আলাদা আলাদা ছিটে বসেও দুজনের নম্বর ছিল সমান। পড়ালেখা শেষে চাকরিও পেয়েছেন একই সঙ্গে। একই কর্মস্থলে দুই ভাই যোগ দিয়েছেন একই দিনে আবার চাকরি থেকে অবসরেও গেছেন একসঙ্গে। দুই ভাই পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছিলেন

ঠান্ডু মিয়া ও মন্টু মিয়ার বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের বানিয়াকান্দর গ্রামে। চাকরি থেকে অবসরে যাবার পর দুই ভাই মিলে বাড়িতেই তৈরি করেছেন মিনি পার্ক। দিনের বেশির ভাগ সময় তাদের কাটে ওই মিনি পার্কে। বাবা বিশারত আলী অনেক আগেই মারা গেছেন। মা রাহেলা নেছা এখনো বেঁচে আছেন। তারা তিন বোন আর দুই ভাই। ঠান্ডু মিয়ার দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। মন্টু মিয়ার তিন মেয়ে।

তাদের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই ভাই বাড়িতে তৈরিকৃত মিনি পার্কে কাজ করছেন। এক ভাই কোদাল হাতে গাছের গোড়া কোপাচ্ছেন, অন্যভাই নিড়ানি দিয়ে গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। এক সঙ্গে বসে দুই ভাই পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে গল্প করছেন। আবার দুই ভাই একই সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান ও ছড়া বলছেন। দুই ভাইয়ের চেহারা ও পোশাকের কোনো পার্থক্য নেই। তাই আলাদা করে চেনা দুষ্কর।

ঠান্ডু ও মন্টু মিয়া জানান, ১৯৬২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ১০ মিনিটের ব্যবধানে জন্ম হয় তাদের। অনেক সময় দুই ভাইকে গুলিয়ে ফেলেন পরিবার সদস্যরাই। এ কারণে জীবনে অনেক মজার ঘটনা ঘটেছে। কেউ জানতে চাইলে জীবনের এসব গল্পের ঝাঁপি খুলে বসেন দুই ভাই।

গ্রামের বাসিন্দা রমজান আলী বলেন, ঠান্ডু ও মন্টু মিয়া দুই ভাইয়ের অনেক মিল। অনেক যমজ রয়েছে, তবে এতটা মিল কোথাও দেখা যায় না। তাদের মধ্যে কখনো ঝগড়া হতে দেখিনি। তারা ছোট থেকেই এখন পর্যন্ত সবসময় একসঙ্গে থাকেন।

যমজ ভাইদের মা রাহেলা নেছা বলেন, ছোট থেকেই দুই ভাইয়ের মধ্যে অনেক মিল। তারা দুই ভাই কোনো কাজ করতে গেলে দুজনে পরামর্শ করে কাজগুলো করে। ওরা যখন বাড়ির বাইরে থাকে, বাড়িতে না আসা পর্যন্ত আমার খুব চিন্তা হয়। কাগজ কলমে ওদের নাম হানজিলার ও তানজিলা, আর ডাক নাম ঠান্ডু ও মন্টু। দুই ভাইকে একসঙ্গে দেখে আমার খুব ভালো লাগে।

তানজিলার রহমান ওরফে মন্টু মিয়া বলেন, ছোট থেকেই একই রকম পোশাক পড়েছি। একই স্কুলে পড়েছি, কলেজে পড়েছি, বিএ পাস করেছি সব একই সঙ্গে। চাকরিও পেয়েছি একই দিনে একই সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠনে। আবার চাকরি থেকে অবসরেও গেছি একই সঙ্গে। পড়ালেখা শেষে আমরা চার বছর বাড়িতে কৃষিকাজ করি। এরপর ১৯৮৬ সালে দুজনই একসঙ্গে পরিসংখ্যান অধিদপ্তরে চাকরির আবেদন করি। চাকরিতে মৌখিক পরীক্ষার সময় ঠান্ডু পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসলে আমি ভেতরে যাই। আমাকে দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা বিস্মিত হয়ে জানতে চান, ‘এইমাত্রই তো সাক্ষাৎকার দিয়ে গেলেন, আবার কেন এসেছেন? তখন আমি বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। এরপর একই চিঠিতে দুই ভাইয়ের চাকরি হয়। ওই বছরের ৮ এপ্রিল ঢাকায় একসঙ্গে চাকরিতে যোগ দেই আমরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে একই অফিসে চাকরি করে জীবন কাটিয়েছি দুই ভাই। ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হিসেবে একসঙ্গে অবসরে গেছি। আমরা জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। দুই ভাই একই সঙ্গে হারিকেনের আলোই একটি বই পড়েছি। আমাদের ছোটবেলা এক সঙ্গেই কেটেছে।

হানজিলার রহমান ওরফে ঠান্ডু মিয়া বলেন, ১৯৬৭ সালে আমাদের দুজনকে কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন বাবা। এরপর আমরা প্রতি শ্রেণিতে ১ম থেকে তৃতীয় হয়েছি। এভাবে ১৯৭১ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে অটোপাস করি। এরপর ১৯৭২ সালে বেড়বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। বিদ্যালয়টি তখন নিম্নমাধ্যমিক ছিল। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় একটি বার্ষিক পরীক্ষায় দুই ভাই একই নম্বর পাই। এরপর বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আমাদের দুজনকে অফিস কক্ষে ডেকে আনেন। দুজনের সম্মতিতে প্রধান শিক্ষক ছোট ভাইকে প্রথম ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ওই সময় বেড়বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় এই স্কুলের রেফারেন্সে পাশের কোটচাঁদপুর উপজেলার আসাননগর কুল্লগাছা স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে ১৯৭৭ সালে দুই ভাই এসএসসি পাস করি। সেখানেও তাদের দুজনের প্রাপ্ত নম্বর ছিল একই। ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি ১৯৭৯ সালে। এরপর আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ পাস করি ১৯৮১ সালে। ৩৫ বছর চাকরি শেষ করে বাড়ির আঙ্গিনায় কিছু সবজি ও ফলের গাছ লাগানো চিন্তাভাবনা করি আমরা। এরপর দুই ভাই মিলে চিন্তা করি বিনোদনের জন্য কিছু করা যায় কিনা। তখন বাড়ির সঙ্গে থাকা ৬০ শতক জমিতে পার্ক করি। এখন পার্কে গাছের পরিচর্যা করেই সময় কাটে আমাদের।

৮নং বানিয়াকান্দর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু কাক্কা বলেন, গ্রামের আপন দুই যমজ ভাই তাদের ছোট থেকেই দেখে আসছি। একই রকম তাদের চেহারা, দেখে চেনার উপায় নেই কে কোনটা। তারা লেখাপড়া থেকে শুরু করে সবকিছু একই সঙ্গে করেছে। বাইরের কোন মানুষ প্রথমে দেখে চিনতে পারবে না কে ছোট কে বড়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মানুষের অভিযোগ নেই।

বিজনেস আওয়ার/৪এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: