ঢাকা , শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই কোটি টাকা অডিট আপত্তির হতাশায় চিকিৎসকের আত্মহত্যা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩
  • 51

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: প্রায় দুই কোটি টাকা অডিট আপত্তি থাকায় হয়েছিল মামলা। আর সেই থেকে চিন্তা আর হতাশায় আত্মহত্যা করেছেন চিকিৎসক মনোয়ারুল হক ওরফে মনোয়ার(৫৮)। এমনটায় ধারণা করছে পুলিশ।

পরিবার পরিকল্পনার পিএসসি নন ক্যাডারে মেডিকেল অফিসার হিসেবে অবসরে যেতে চেয়েছিলেন চিকিৎসক মনোয়ারুল। কিন্তু এর আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এ চিকিৎসক।

নিহত মনিরুলের বাড়ি বগুড়া জেলার সদর থানা এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত ওবায়দুল হকের ছেলে। মনোয়ারুল হকের বড় ভাই সাবেক র‍্যাব-৮ অধিনায়ক ছিলেন।

ঘটনার বিষয়ে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)অপূর্ব হাসান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অফিসে আসেন মনোয়ারুল হক। পরিবার পরিকল্পনার হেড অফিসের বারো তলায় ১২০১ নাম্বার রুমে বসেন অডিট কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। নামাজের জন্য এ কর্মকর্তা বাইরে গেলে তার রুমের ভিতর ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক মনিরুল।

‘অডিট কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ নামাজ শেষে এসে দরজা খুলে দেখেন- মনিরুলের দেহ ঝুলে আছে। খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়’ যোগ করেন এ কর্মকর্তা।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, চিকিৎসক মনিরুল রায়পুরা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।‌ কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে এক কোটি ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ওই মামলার বিষয়ে আজ তিনি ঢাকা অফিসে এসেছিলেন।

ওসি বলেন, অর্থ আত্মসাতের তদন্ত চলায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অবসরে যেতে পারছিলেন না মনোয়ারুল হক। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি- তিনি এই মামলার বিষয়ে যথেষ্ট হতাশ ও চিন্তিত ছিলেন এবং তার অডিট আপত্তিও ছিল। যার ফলে তিনি ওই অফিসে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে আমরা ধারণা করছি।

ওসি আরও জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/৪এপ্রিল, ২০২৩/এস এম

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দুই কোটি টাকা অডিট আপত্তির হতাশায় চিকিৎসকের আত্মহত্যা

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: প্রায় দুই কোটি টাকা অডিট আপত্তি থাকায় হয়েছিল মামলা। আর সেই থেকে চিন্তা আর হতাশায় আত্মহত্যা করেছেন চিকিৎসক মনোয়ারুল হক ওরফে মনোয়ার(৫৮)। এমনটায় ধারণা করছে পুলিশ।

পরিবার পরিকল্পনার পিএসসি নন ক্যাডারে মেডিকেল অফিসার হিসেবে অবসরে যেতে চেয়েছিলেন চিকিৎসক মনোয়ারুল। কিন্তু এর আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এ চিকিৎসক।

নিহত মনিরুলের বাড়ি বগুড়া জেলার সদর থানা এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত ওবায়দুল হকের ছেলে। মনোয়ারুল হকের বড় ভাই সাবেক র‍্যাব-৮ অধিনায়ক ছিলেন।

ঘটনার বিষয়ে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)অপূর্ব হাসান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অফিসে আসেন মনোয়ারুল হক। পরিবার পরিকল্পনার হেড অফিসের বারো তলায় ১২০১ নাম্বার রুমে বসেন অডিট কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। নামাজের জন্য এ কর্মকর্তা বাইরে গেলে তার রুমের ভিতর ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক মনিরুল।

‘অডিট কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ নামাজ শেষে এসে দরজা খুলে দেখেন- মনিরুলের দেহ ঝুলে আছে। খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়’ যোগ করেন এ কর্মকর্তা।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, চিকিৎসক মনিরুল রায়পুরা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।‌ কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে এক কোটি ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ওই মামলার বিষয়ে আজ তিনি ঢাকা অফিসে এসেছিলেন।

ওসি বলেন, অর্থ আত্মসাতের তদন্ত চলায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অবসরে যেতে পারছিলেন না মনোয়ারুল হক। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি- তিনি এই মামলার বিষয়ে যথেষ্ট হতাশ ও চিন্তিত ছিলেন এবং তার অডিট আপত্তিও ছিল। যার ফলে তিনি ওই অফিসে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে আমরা ধারণা করছি।

ওসি আরও জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/৪এপ্রিল, ২০২৩/এস এম

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: