ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একাদশে ভর্তির ফি নির্ধারণ

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 61

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ফি নির্ধারণ করে দিয়ে মফস্বল, পৌর ও মেট্রোপলিটন এলাকার বেসরকারি কলেজের ভর্তি ফিসহ মাসিক বেতন ও যাবতীয় খরচের বিষয়ে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তির নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। ভর্তি প্রক্রিয়ার সবগুলো ধাপ শেষ হওয়ার পর আগামী ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি হতে এর আগেই নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।

গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা কলেজগুলোকে তাদের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। কোটার শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সনদ দেখে ভর্তি করাতে হবে।

এমপিওভুক্ত মফস্বল বা পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেশন ফিসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করতে পারবে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিও বহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিও বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান এবার দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেড ক্রিসেস্ট ফি বাবদ ১২ টাকা নিতে পারবে।

কোনো শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলে ও বিলম্বে ভর্তি হলে তাকে ১৫০ টাকা পাঠ বিলম্ব ফি এবং ১০০ টাকা বিলম্ব ভর্তি দিতে হবে।

সরকারি কলেজগুলোকে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনুমোদিত ফি’র বেশি না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সব ফি রশিদের মাধ্যমে নিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ এবং অভিভাবকদের আর্থিক অসচ্ছলতার বিষয় বিবেচনা করে দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোকে উল্লিখিত ফিগুলো যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে হবে।

ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর বোর্ডের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনীয় ফি জমা দিয়ে কলেজ, গ্রুপ ও বিষয় পরিবর্তন করতে পারবে। তবে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গ্রুপ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অন্য গ্রুপে একবার ভর্তি হওয়ার পর পরবর্তীসময়ে বিজ্ঞান বিভাগে প্রত্যাবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি নীতিমালা না মেনে শিক্ষার্থী ভর্তি করালে সেই কলেজের পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে। আর সরকারি কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

একাদশে ভর্তির ফি নির্ধারণ

পোস্ট হয়েছে : ০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ফি নির্ধারণ করে দিয়ে মফস্বল, পৌর ও মেট্রোপলিটন এলাকার বেসরকারি কলেজের ভর্তি ফিসহ মাসিক বেতন ও যাবতীয় খরচের বিষয়ে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তির নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। ভর্তি প্রক্রিয়ার সবগুলো ধাপ শেষ হওয়ার পর আগামী ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি হতে এর আগেই নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।

গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা কলেজগুলোকে তাদের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। কোটার শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত সনদ দেখে ভর্তি করাতে হবে।

এমপিওভুক্ত মফস্বল বা পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেশন ফিসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করতে পারবে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিও বহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিও বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান এবার দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেড ক্রিসেস্ট ফি বাবদ ১২ টাকা নিতে পারবে।

কোনো শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলে ও বিলম্বে ভর্তি হলে তাকে ১৫০ টাকা পাঠ বিলম্ব ফি এবং ১০০ টাকা বিলম্ব ভর্তি দিতে হবে।

সরকারি কলেজগুলোকে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনুমোদিত ফি’র বেশি না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সব ফি রশিদের মাধ্যমে নিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ এবং অভিভাবকদের আর্থিক অসচ্ছলতার বিষয় বিবেচনা করে দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোকে উল্লিখিত ফিগুলো যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে হবে।

ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর বোর্ডের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনীয় ফি জমা দিয়ে কলেজ, গ্রুপ ও বিষয় পরিবর্তন করতে পারবে। তবে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গ্রুপ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অন্য গ্রুপে একবার ভর্তি হওয়ার পর পরবর্তীসময়ে বিজ্ঞান বিভাগে প্রত্যাবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি নীতিমালা না মেনে শিক্ষার্থী ভর্তি করালে সেই কলেজের পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে। আর সরকারি কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: