বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বর্তমানে ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রয় করা হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য এই ৫০ শতাংশ টিকিটের অর্ধেক অর্থাৎ মোট আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ স্টেশনের কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
প্রায় ২০টি কাউন্টারের মাধ্যমে সকল আন্তনগর যাত্রীবাহী ট্রেনের ২৫ শতাংশ টিকিট দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। একইসঙ্গে মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন থেকে পাওয়া যাবে বাকি ২৫ শতাংশ আসনের টিকিট।
গত ৩১ মে থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ ছিল। টিকিট দেওয়া হতো শুধুমাত্র অনলাইনে। প্রায় সাড়ে ৫ মাস স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকার পর আজ আবার আগের অবস্থায় ফিরেছে কমলাপুর রেলস্টেশন।তবে কাউন্টারে টিকিট কাটা যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।
কাউন্টারে টিকিট বিক্রির বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন,বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একযোগে আজ থেকে কমলাপুরসহ সারা দেশের রেলস্টেশনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। কাউন্টার থেকে ২৫ শতাংশ আসনের টিকিট দিচ্ছি আমরা।
রাজশাহীগামী এক যাত্রী বলেন, কাঙ্ক্ষিত টিকিট কাউন্টারের পাওয়া যাচ্ছে না। ২৫ শতাংশের বেশি টিকিট কাউন্টারে দেওয়া উচিত। তাহলে সকল রুটের যাত্রীরা তাদের টিকিট পেতে পারবেন। কারণ অনেকে আধুনিক মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার কারণে অনলাইনে টিকিট কাটতে একশ্রেণির মানুষ সক্ষম হচ্ছে না।
এদিকে, কাউন্টার থেকে যাত্রার ১০ দিন আগের অগ্রিম টিকিট কিনতে পারবেন যাত্রীরা। সকাল ৬টা থেকে মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলে ২৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি অব্যাহত আছে। এছাড়া, কাউন্টার, মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইল কোটায় অবিক্রিত টিকিট যাত্রার ১২০ ঘণ্টা পূর্বে যে কোনো মাধ্যম থেকে টিকিট কাটা যাবে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সরকারের নির্দেশনার পর গত ৩১ মে থেকে আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। এখন সব মিলিয়ে মোট ৮১ জোড়া অর্থাৎ ১৬২টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে বিভিন্ন রুটে।
বিজনেস আওয়ার/১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ