ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘দুর্ভাগ্যক্রমে আজ অবধি কেউ মিয়ানমারে ফিরে যায়নি’

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের পরে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছিল। তারা তাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতেও সম্মত হয়েছিল এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা সম্মত হয়। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে আজ অবধি কেউ মিয়ানমারে ফিরে যায়নি। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ২৭তম আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের (এআরএফ) ভার্চুয়াল সম্মেলনে এসব কথা বলেন। ভিয়েতনামের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের চেয়ারম্যান ফাম বিন মিনহ এ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে গণহত্যার হাত থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ নিপীড়িত মানুষকে মানবিক আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী চেতনায় গঠনমূলক কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানে বাংলাদেশ আগ্রহী।

তিনি বলেন, মিয়ানমার আমাদের বন্ধুদেশ তাই প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার তার দেশে রোহিঙ্গা ফেরাতে অনুকূল পরিবেশ তৈরির পরিবর্তে রাখাইন রাজ্যে চলছে লড়াই ও গোলাগুলি।

ড. মোমেন বলেন, আমাদের আশঙ্কা এই যে, যদি এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান না করা হয় তবে এই সংকট উগ্রবাদের পকেটে পরিণত হতে পারে। যেহেতু সন্ত্রাসীদের কোনোও সীমানা নেই তাই এই অঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে যা আমাদের শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল অঞ্চলের জন্য হুমকি স্বরূপ।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা মূলত তাদের স্বদেশে ফিরছে না কারণ তারা সুরক্ষার বিষয়ে তাদের সরকারকে বিশ্বাস করে না। আমরা আমাদের এআরএফ অংশীদারদের কাছ থেকে এ বিষয়ে সমর্থন প্রার্থনা করি যাতে এই অসহায় রোহিঙ্গারা সুরক্ষা এবং মর্যাদায় তাদের বাড়িতে ফিরে আসতে পারে।

বিজনেস আওয়ার/১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘দুর্ভাগ্যক্রমে আজ অবধি কেউ মিয়ানমারে ফিরে যায়নি’

পোস্ট হয়েছে : ১২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের পরে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছিল। তারা তাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতেও সম্মত হয়েছিল এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা সম্মত হয়। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে আজ অবধি কেউ মিয়ানমারে ফিরে যায়নি। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ২৭তম আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের (এআরএফ) ভার্চুয়াল সম্মেলনে এসব কথা বলেন। ভিয়েতনামের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের চেয়ারম্যান ফাম বিন মিনহ এ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে গণহত্যার হাত থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ নিপীড়িত মানুষকে মানবিক আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী চেতনায় গঠনমূলক কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানে বাংলাদেশ আগ্রহী।

তিনি বলেন, মিয়ানমার আমাদের বন্ধুদেশ তাই প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার তার দেশে রোহিঙ্গা ফেরাতে অনুকূল পরিবেশ তৈরির পরিবর্তে রাখাইন রাজ্যে চলছে লড়াই ও গোলাগুলি।

ড. মোমেন বলেন, আমাদের আশঙ্কা এই যে, যদি এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান না করা হয় তবে এই সংকট উগ্রবাদের পকেটে পরিণত হতে পারে। যেহেতু সন্ত্রাসীদের কোনোও সীমানা নেই তাই এই অঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে যা আমাদের শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল অঞ্চলের জন্য হুমকি স্বরূপ।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা মূলত তাদের স্বদেশে ফিরছে না কারণ তারা সুরক্ষার বিষয়ে তাদের সরকারকে বিশ্বাস করে না। আমরা আমাদের এআরএফ অংশীদারদের কাছ থেকে এ বিষয়ে সমর্থন প্রার্থনা করি যাতে এই অসহায় রোহিঙ্গারা সুরক্ষা এবং মর্যাদায় তাদের বাড়িতে ফিরে আসতে পারে।

বিজনেস আওয়ার/১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: