বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঘরে ঘরে হরলিক্সের ব্যবহার ২০২০ সালে ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার কোম্পানির চেয়ারম্যান মাসুদ খান। আরও বলেন, ভোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে আমরা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছি।
মঙ্গলবার ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির ৫০তম বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) তিনি এসব কথা বলেন। সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির মধ্যে দিয়ে এই এজিএম সম্পন্ন করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার। কোম্পানির চেয়ারম্যান মাসুদ খান সভার সভাপতিত্ব করেন। সভার কার্যক্রম পরিচালনা করেন কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ নাহারুল ইসলাম মোল্লা।
এদিন কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে ২০২২ (জানুয়ারী – ডিসেম্বর) সালের সমাপ্ত বছরের জন্য ৩০০ শতাংশ চূড়ান্ত ডিভিডেন্ড (২৪০ শতাংশ নগদ এবং ৬০ শতাংশ স্টক) সহ মোট ৫টি এজেন্ডা অনুমোদন হয়। অন্য এজেন্ডাগুলো হলো- ওই সমাপ্ত বছরের আর্থিক বিবরনী ও পরিচালকদের রিপোর্ট অনুমোদন, পরিচালক নির্বাচন, নিরীক্ষক নিয়োগ ও সন্মানি নির্ধারন, আগামি বছরের জন্য কর্পোরেট কমপ্লায়েন্স অডিটর নিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারন।
মাসুদ খান বলেন, বিভিন্ন উদ্ভাবনী বিপণন চ্যানেল তৈরি, সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও মূল্য নির্ধারণে কার্যকর নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা সহ সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আবর্তিত করে ২০২২ সালে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানিখাতে সংকট সত্ত্বেও আমাদের প্রতিষ্ঠান এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে। ভোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে ও সচেতনতা তৈরির জন্য আমরা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছি ও ক্যাম্পেইন বাড়িয়েছি। তারই ফলশ্রুতিতে ঘরে ঘরে হরলিক্সের ব্যবহার ২০২০ সালে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
একটি ভোক্তাপ্রিয় স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সহযাত্রী হবার পাশাপাশি আমরা আরো সমৃদ্ধ ও সুস্থ জাতি গঠনে আশাবাদী জানিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আমরা আমাদের উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে অধিক মানসম্পন্ন ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। টেকসই উন্নয়নে দৃঢ় অঙ্গীকার প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ে আমাদের দায়িত্বশীল হতে ও অভ্যাসগত পরিবর্তনের মাধ্যমে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সার্কুলার মডেল বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে অনুপ্রাণিত করেছে। আমরাই বাংলাদেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান, যেটি প্লাস্টিক নিউট্রালিটি অর্জন করেছে।
জুমে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মিনহাজ,পরিচালক জাভেদ আখতার, জিনিয়া তানজিনা হক, এস ও এম রাশেদুল কাইউম, মো. আবুল হোসাইন, মোহসিন উদ্দিন আহমেদ, রেজাউল হক চৌধুরী সহ কোম্পানি শেয়ারহোল্ডাররা।
উল্লেখ্য এ ক্যাটাগরির ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৯৭৬ সালে তালিকাভূক্তি হয়। এর অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি টাকা। কোম্পিানির শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৯টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৮৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকদের ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী দশমিক ২৯ শতাংশ ও সাধারন বিনিয়োগকারী ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৯ টাকা।
বিজনেস আওয়ার/১৭ মে, ২০২৩/এমএজেড