ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘পলাতক’ পাত্রকে ধাওয়া করে ধরলেন কনে

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • 4

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিয়ে করতে রাজি নন। তাই বিয়ের দিন লুকিয়ে লুকিয়ে শহর ছাড়ছিলেন। কিন্তু ‘রেহাই’ মিলল না! কনের সাজেই ‘পলাতক’ পাত্রকে ২০ কিলোমিটার ধাওয়া করে ছাঁদনাতলায় ধরে আনলেন পাত্রী।

যদিও ওই পাত্রের সঙ্গে কনের আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বরেলীর বারাদারি এলাকায়। বুধবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তরপ্রদেশের বদায়ুন জেলার বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্ক ছিল বারাদারির বাসিন্দা কনের। দুই পরিবারের মধ্যে অনেক আলাপ-আলোচনার পর সম্প্রতি তাদের বিয়ের দিন ধার্য হয়। ঠিক ছিল গত রোববার বরেলীর ভূতেশ্বরনাথ মন্দিরে বিয়ে করবেন তারা।

বিয়ের দিন পাত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যরা মন্দিরে পৌঁছালেও বিয়ে করতে আসেননি পাত্র। আসেননি তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও। অনেক অপেক্ষার পর পাত্রকে ফোন করা হলে, তিনি জানান, মাকে আনতে বদায়ুন যাচ্ছেন তিনি। মাকে নিয়েই পৌঁছে যাবেন মণ্ডপে।

এ কথা শোনামাত্রই সন্দেহ হয় কনের! তার মনে হয় বিয়ের আগেই পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন হবু স্বামী। এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে একটি গাড়িতে চেপে বরকে ধাওয়া করেন কনে এবং তার পরিবারের সদস্যরা।

একপর্যায়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ভীমোরা থানার কাছে হবু স্বামীকে ধরে ফেলেন তিনি। একটি বাসে চেপে পালিয়ে যাওয়ার সময়ই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান কনের হবু ওই স্বামী। এরপর সরাসরি পাত্রকে নিয়ে স্থানীয় একটি মন্দিরে চলে যান কনে। উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে ভীমোরা মন্দিরে বিয়ে হয় তাদের।

এনডিটিভি বলছে, বিয়েতে বরের না আসার খবর পেয়ে নিজেই তাকে খুঁজতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মণ্ডপে বসে বিয়ের অপেক্ষায় থাকা কনে। পরে বরেলী শহরের সীমানার বাইরে একটি থানার কাছে বাসে সন্ধান পাওয়া যায় বরের।

টানা দুই ঘণ্টা ধরে নাটকীয় নানা ঘটনার পর নববধূ, তার পরিবার এবং সেই সাথে লোকটির পরিবার তাকে একটি মন্দিরে নিয়ে যায়। পরে বরের পরিবার বিয়েতে সম্মতি দেয় এবং বরেলী শহরের বাইরে একটি মন্দিরে তাদের বিয়ে হয়।

বিজনেস আওয়ার/২৪ মে, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘পলাতক’ পাত্রকে ধাওয়া করে ধরলেন কনে

পোস্ট হয়েছে : ১২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিয়ে করতে রাজি নন। তাই বিয়ের দিন লুকিয়ে লুকিয়ে শহর ছাড়ছিলেন। কিন্তু ‘রেহাই’ মিলল না! কনের সাজেই ‘পলাতক’ পাত্রকে ২০ কিলোমিটার ধাওয়া করে ছাঁদনাতলায় ধরে আনলেন পাত্রী।

যদিও ওই পাত্রের সঙ্গে কনের আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বরেলীর বারাদারি এলাকায়। বুধবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তরপ্রদেশের বদায়ুন জেলার বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্ক ছিল বারাদারির বাসিন্দা কনের। দুই পরিবারের মধ্যে অনেক আলাপ-আলোচনার পর সম্প্রতি তাদের বিয়ের দিন ধার্য হয়। ঠিক ছিল গত রোববার বরেলীর ভূতেশ্বরনাথ মন্দিরে বিয়ে করবেন তারা।

বিয়ের দিন পাত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যরা মন্দিরে পৌঁছালেও বিয়ে করতে আসেননি পাত্র। আসেননি তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও। অনেক অপেক্ষার পর পাত্রকে ফোন করা হলে, তিনি জানান, মাকে আনতে বদায়ুন যাচ্ছেন তিনি। মাকে নিয়েই পৌঁছে যাবেন মণ্ডপে।

এ কথা শোনামাত্রই সন্দেহ হয় কনের! তার মনে হয় বিয়ের আগেই পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন হবু স্বামী। এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে একটি গাড়িতে চেপে বরকে ধাওয়া করেন কনে এবং তার পরিবারের সদস্যরা।

একপর্যায়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ভীমোরা থানার কাছে হবু স্বামীকে ধরে ফেলেন তিনি। একটি বাসে চেপে পালিয়ে যাওয়ার সময়ই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান কনের হবু ওই স্বামী। এরপর সরাসরি পাত্রকে নিয়ে স্থানীয় একটি মন্দিরে চলে যান কনে। উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে ভীমোরা মন্দিরে বিয়ে হয় তাদের।

এনডিটিভি বলছে, বিয়েতে বরের না আসার খবর পেয়ে নিজেই তাকে খুঁজতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মণ্ডপে বসে বিয়ের অপেক্ষায় থাকা কনে। পরে বরেলী শহরের সীমানার বাইরে একটি থানার কাছে বাসে সন্ধান পাওয়া যায় বরের।

টানা দুই ঘণ্টা ধরে নাটকীয় নানা ঘটনার পর নববধূ, তার পরিবার এবং সেই সাথে লোকটির পরিবার তাকে একটি মন্দিরে নিয়ে যায়। পরে বরের পরিবার বিয়েতে সম্মতি দেয় এবং বরেলী শহরের বাইরে একটি মন্দিরে তাদের বিয়ে হয়।

বিজনেস আওয়ার/২৪ মে, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: