লাইফস্টাইল ডেস্ক: ডায়াবিটিস রোগটি এখন ঘরে ঘরে। অসংখ্য মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। আর আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে এই রোগের আশঙ্কা হল সবথেকে বেশি। কারণ এই দেশের মানুষের জিনের মধ্যে প্রবেশ করে গিয়েছে সুগার। বংশপরম্পরায় বেড়ে চলেছে এই রোগ। তবে এই জটিল রোগ বশে আনতে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে নিম গাছের পাতা।
নিমের গুণের কথা সবারই জানা। তবে নিয়মিত নিম পাতা সেবনে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি বদহজম, দুশ্চিন্তা, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো রোগকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব সেটা অনেকের অজানা। রোগীকে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক কঠোর নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি সেবন করতে হয় ওষুধও।
কিন্তু ওষুধের মাত্রা কমিয়ে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন এনে আর ডায়েটে ভেষজ উপাদান নিমকে যুক্ত করে সহজেই এ সমস্যা থেকে কার্যকরী সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
নিম পাতায় থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে। এরসঙ্গে এটি দেহের অভ্যন্তরে উপস্থিত অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকেও মেরে ফেলে। এটি পেট পরিষ্কার রাখে এবং সে কারণেই এটি ত্বকের জন্যও কার্যকর। নিম পাতা হজমের জন্যও উপকারী।
রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী নিম পাতার রস। নিমের গ্লাইকোসাইডস, ট্রিপটোপেনয়েড সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভানয়েডস উপাদান রক্তে শর্করার লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
রস করে নিম পাতা খেতে না চাইলে চিবিয়ে কিংবা সরিষা তেলে হালকা ভেজে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। তবে ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকলে সব রোগই নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিজনেস আওয়ার/২৯ মে, ২০২৩/এএইচএ