বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ইলিশ রফতানির দিন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করল ভারত। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে রাতারাতি মশলাজাতীয় পণ্যটির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে গেছে। রাজধানীর মিরপুর, জোয়ার সাহারার কয়েকটি খুচরা বাজার সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর থেকে হঠাৎ করেই প্রচুর ক্রেতা দোকানে ভিড় করেছেন পেঁয়াজ কেনার জন্য। এসব দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তবে বেশ কিছু দোকানেই পেঁয়াজ না পেয়ে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে ক্রেতাদের।
মিরপুর শেওড়াপাড়ার এক বিক্রেতা বলেন, গতকাল বিকাল থেকে পেঁয়াজের ক্রেতা না থাকলেও সন্ধ্যার পর পেঁয়াজের বিক্রি বেড়ে গেছে। ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে এখানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। সোমবার সকালের চেয়ে দাম একটু বেশি।
মিরপুরের আরেক পেঁয়াজ-আলু বিক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরাও দাম বাড়িয়েছি। শুনলাম ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। সেজন্য হুহু করে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আগামীকাল কেজিপ্রতি হয়তো আরও ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়বে।
এক পেঁয়াজ ক্রেতা বলেন, ভারতের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে খুচরা ব্যবসায়ীরা কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগামীকাল হয়তো এটির দাম আরও বেড়ে যাবে তাই একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও পেঁয়াজ কিনে রাখলাম। ৫ কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে কিনলাম।
অপরদিকে, খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম কমে গেলে তারাও পেঁয়াজের দাম কমিয়ে দেবেন। তবে এই মুহূর্তে দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ প্রসঙ্গে বেনাপোলের আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রফতানিকারকরা স্থানীয় বাজার দর হিসাবে ৭৫০ ডলারের নিচে বাংলাদেশে পেঁয়াজের রফতানি করবে না। এজন্য পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।
বিজনেস আওয়ার/১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ