ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজ আসছে অন্য দুই দেশ থেকে

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 72

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গত বছরের মতো এবারও পূর্ব ঘোষণা না দিয়েই হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। যার ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তবে গত বছরের অভিজ্ঞতায় এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধে আগে থেকেই সতর্ক ছিল। ইতোমধ্যে মিয়ানমার এবং তুরস্ক থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি চূড়ান্ত করেছে।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপন জারির সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

তবে ভারতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, টনপ্রতি ২৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ ডালার নির্ধারণ করা হলেই আবারো রপ্তানি শুরু হবে।ভারতের পেট্রাপোল রপ্তানিকারক সমিতির পক্ষে ব্যবসায়ী কার্তিক ঘোষের কথাও প্রায় একই রকম।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিকারক সমিতি টন প্রতি ৭৫০ ডলারের নিচে পেঁয়াজ রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে পেঁয়াজ বোঝাই অনেক ট্রাক বাংলাদেশ সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে।

বেনাপোলের পেঁয়াজ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে প্রতি টন পেঁয়াজ ২৫০ ডলার মূল্যে আমদানি হয়ে আসছে। ভারতে বন্যার কারণে সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিকারকরা ৭৫০ ডলারের নিচে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবেন না। এ কারণে তারা এখন রপ্তানি বন্ধ রেখেছে।

এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করেছে, নাকি ন্যূনতম মূল্য বেঁধে দেবে সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। ভারতের বিকল্প হিসেবে তুরস্ক ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ সরবরাহ লাইনে আছে। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ চলতি মাসের শেষ নাগাদ দেশের বাজারে ঢুকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে পেঁয়াজের মজুদ পর্যাপ্ত থাকলেও এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এ ব্যাপারে আমরা এবার সতর্ক রয়েছি। আশা করি দেশের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে এবার কোনও ধরনের অরাজগতা সৃষ্টি হবে না।

বিজনেস আওয়ার/১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পেঁয়াজ আসছে অন্য দুই দেশ থেকে

পোস্ট হয়েছে : ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গত বছরের মতো এবারও পূর্ব ঘোষণা না দিয়েই হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। যার ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তবে গত বছরের অভিজ্ঞতায় এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধে আগে থেকেই সতর্ক ছিল। ইতোমধ্যে মিয়ানমার এবং তুরস্ক থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি চূড়ান্ত করেছে।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপন জারির সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

তবে ভারতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, টনপ্রতি ২৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ ডালার নির্ধারণ করা হলেই আবারো রপ্তানি শুরু হবে।ভারতের পেট্রাপোল রপ্তানিকারক সমিতির পক্ষে ব্যবসায়ী কার্তিক ঘোষের কথাও প্রায় একই রকম।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিকারক সমিতি টন প্রতি ৭৫০ ডলারের নিচে পেঁয়াজ রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে পেঁয়াজ বোঝাই অনেক ট্রাক বাংলাদেশ সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে।

বেনাপোলের পেঁয়াজ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে প্রতি টন পেঁয়াজ ২৫০ ডলার মূল্যে আমদানি হয়ে আসছে। ভারতে বন্যার কারণে সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিকারকরা ৭৫০ ডলারের নিচে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবেন না। এ কারণে তারা এখন রপ্তানি বন্ধ রেখেছে।

এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করেছে, নাকি ন্যূনতম মূল্য বেঁধে দেবে সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। ভারতের বিকল্প হিসেবে তুরস্ক ও মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন পেঁয়াজ সরবরাহ লাইনে আছে। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ চলতি মাসের শেষ নাগাদ দেশের বাজারে ঢুকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে পেঁয়াজের মজুদ পর্যাপ্ত থাকলেও এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এ ব্যাপারে আমরা এবার সতর্ক রয়েছি। আশা করি দেশের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে এবার কোনও ধরনের অরাজগতা সৃষ্টি হবে না।

বিজনেস আওয়ার/১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: