বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ঈদের এক মাস আগে থেকেই পণ্য বাজার অস্থিতিশীল। সয়াবিন, পেঁয়াজ, রসুন, জিরাসহ অন্যান্য মসলার দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। পণ্যের দামে লাগাম পড়াতে ১৩ দফা সুপারিশ করেছে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
বৃহস্পতিবার ঈদকে সামনে রেখে পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, সভাপতি এবং সংগঠনের সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চিনি, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, রসুন, জিরাসহ অন্যান্য মসলাপাতি ভারতে দাম কম কিন্তু বাংলাদেশে দাম লাগামীহনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দাম বাড়ানো হয়েছে। দামের লাগাম টানতে ১৩ দফা সুপারিশ করেছে।
সুপারিশগুলো হলো-পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যের বিক্রয়মূল্য দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে পদক্ষেপ নিতে হবে; নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহের তথ্য সংগ্রহ, সরবরাহ ও প্রাপ্তি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিশ্চিত করতে হবে; নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি মূল্য, পাইকারি মূল্য ও খুচরা মূল্য নির্ধারণ করতে হবে ও তা বাস্তবায়নের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে; কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও মজুতকারীদের জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে ও তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে;
পেঁয়াজ, রসুন, আদার অধিকতর চাষাবাদের জন্য বীজ, সার ও লাগসই আধুনিক প্রযুক্তি কৃষকদের নিকট সহজলভ্য করতে হবে; সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে সরিষার অধিকতর চাষাবাদের ওপর জোর দিতে হবে। এছাড়া রাইস ব্র্যান অয়েল এর সুলভ মূল্যে উৎপাদন ও ব্যবহার উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; প্রাণীজ পুষ্টির চাহিদা পূরণে গরুর মাংস সহজলভ্য করার জন্য খামারিদের আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে; পেঁয়াজ, রসুন, আদা, সয়াবিন তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক ছাড় দিয়ে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলার সুযোগ দিতে হবে এবং পণ্য আমদানির পর তা যেন নির্দিষ্ট দামে বাজারে বিক্রি হয় তা নিশ্চিত করতে হবে;
সম্প্রতি চিনির দাম বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত চিনিকল মালিকদের সংগঠন গ্রহণ করেছে তা কার্যকর না করে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামেই খুচরা বাজারে খোলা চিনি ও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহকে যুগোপযোগী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; সড়কে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন হয়রানি বন্ধ করার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; আমদানিকৃত পচনশীল পণ্য স্থল ও নৌ বন্দর হতে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; গরুর মাংসের দাম কমাতে ভারত থেকে ১ লাখ গরু আমদানি করা উচিত।
বিজনেস আওয়ার/২২ জুন, ২০২৩/এমএজেড