বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) কর্ণফুলী থানা এলাকার কর্ণফুলীর নদীর একটি জাহাজ থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তারা তিনজনই প্রায় ৭ বছর পলাতক ছিলেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- মো. জামাল (৩৫), কামাল হোসেন (৩২) ও আব্দুস ছবুর (৪০)। তারা পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ চাটরা মৌলভী পাড়ার মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে।
র্যাব সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী কামাল উদ্দিন (৪৫) পটিয়ার ছনহরা এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় রাজমিস্ত্রির সহকারী। ২০১৫ সালের ১২ জুলাই তার বাড়ির পাশের পুকুরে কয়েকজন শিশু গোসল করতে থাকে। ওই সময় শিশুরা পুকুরের পাড়ে ওঠে লাফালাফি করে। তখন কামালের তালতো বোন ফাতেমা আক্তার দুর্ঘটনা ঘটতে পারে- এই আশঙ্কায় শিশুদের পুকুর পাড়ে লাফালাফি করতে বারণ করে। কিন্তু শিশুরা তার কথা না শুনে আরো বেশি লাফালাফি করতে থাকে। তখন ফাতেমা পুকুরে একটি ঢিল ছুড়ে মারলে শিশু আল আমিনের গায়ে লাগে।
পরে শিশু আল-আমিন বাড়িতে গিয়ে ঢিল ছোড়ার বিষয়টি তার মাকে জানায়। আল আমিনের মা উত্তেজিত হয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাতেমাকে চুল ধরে টানাটানি করে মারধর করে। একপর্যায়ে শিশু আল আমিনের স্বজনরা জড়ো হয়ে কামাল উদ্দিনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা জোবাইর হোসেন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, মামলার পর গ্রেফতার হওয়া তিন আসামি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পলাতক থাকা অবস্থায় আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তাদের গ্রেফতারে গোপনে নজরদারি চালানো হয়। একপর্যায়ে রোববার কর্ণফুলীর নদীর একটি জাহাজ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিন ভাইকে পটিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/২৬ জুন, ২০২৩/এএইচএ