বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করছেন বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শনিবার হলি আর্টিজান হামলার বর্ষপূর্তিতে ঘটনাস্থলে স্থাপিত অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিদেশি দূতাবাসের কূটনীতিক ও পুলিশ কর্মকর্তারা।
গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর প্লটের ওই ভবনের সামনে সকাল সাড়ে নয়টায় অস্থায়ী বেদীতে প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। তারপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। এছাড়া ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, জঙ্গিবাদ নির্মূল না হলেও বাংলাদেশে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হলি আর্টিজানের মতো হামলার সক্ষমতা এখন আর জঙ্গিদের নেই।
আরও বলেন, ২০১৬ সালের পয়লা জুলাই হলি আর্টিজানে বিদেশি নাগরিকদের অতর্কিতভাবে জিম্মি ও হত্যা করে জঙ্গিরা। এসময় তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের দুইজন সিনিয়র পুলিশ সদস্য শহীদ হন। আজকে আমাদের মনে এইটা দগ্ধ ঘায়ের মতো জ্বলে।
দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করতে বিগত ২০১৫-১৬ সালে বিভিন্ন জঙ্গি হামলা ঘটানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, হলি আর্টিজান হামলার পর আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে ভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে থাকে।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে ১ জুলাই রাতে জঙ্গি হামলাটি হয়েছিল। ওই রাতে গুলশান-২ এর হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা দেশি-বিদেশি ২২ জন নাগরিককে হত্যা করে। এর মধ্যে ইতালির নয়জন, জাপানি সাতজন, ভারতীয় একজন, আমেরিকায়ন একজন, বাংলাদেশি দুইজন নাগরিক এবং দুইজন পুলিশ কর্মকর্তরা রয়েছেন। এছাড়া পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে দেশি-বিদেশি মোট ৩২ জন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়।
বিজনেস আওয়ার/১ জুলাই, ২০২৩/এমএজেড