ঢাকা , সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিটি ব্যাংকের গড় ব্যালেন্স বৃদ্ধি ৯ শতাংশ

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
  • 43

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গত ৩ বছরে ব্যাংকের গড় ব্যালেন্স শীট ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে এই বৃদ্ধি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও সিটি ব্যাংকের সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার।

গতকাল মঙ্গলবার সিটি ব্যাংকের ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে তিনি এসম কথা বলেন। এজিএমে ২০২২ সমাপ্ত বছরের (জানুয়ারী-ডিসেম্বর) ব্যাংকটির নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী উপস্থাপন করা হয়। পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডাররা ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সুপারিশ করা ১০ শতাংশ নগদ এবং ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন হয়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানির পরিচালক নিয়োগ, স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ, নিরীক্ষক ও তার পারিশ্রমিক নির্ধারন এজেন্ডা অনুমোদন হয়েছে।

ব্যাংকের সম্ভাবনাময় সুযোগসমূহ ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন আজিজ আল কায়সার বলেন, ২০২২ সালে সিটি ব্যাংকের নীট মুনাফা হয়েছে ৪৭৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। গত ৩ বছরে ব্যাংকের গড় ব্যালেন্স শীট ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে এই বৃদ্ধি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও সিটি ব্যাংকের আর্থিক ফলাফল, স্থিতিস্থাপকতা এবং সৃজনশীলতা অক্ষুন্ন রেখে সামনে এগিয়ে এসেছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী এবং ইউরোপের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও বিচক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় সিটি ব্যাংকের ২০২২ সালে ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। যা একটি স্থিতিশীল এবং আরো ভিজিলেন্ট রিস্ক রিটার্ন স্ট্রাকচার গড়ে তোলার লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। ২০১৯ সালের প্রাক-কোভিড সময়ে আমাদের ২৫০ কোটি টাকা থেকে ২০২২ সালে বেড়ে ৪৫০ কোটি টাকাতে এসে দাঁড়িয়েছে।

সার্বিক চিত্র শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তুলে ধরে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মাসরুর আরেফিন প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও ব্যালান্স শিটের বিশাল প্রবৃদ্ধির সাপেক্ষে মূলধন পর্যাপ্ততার বিষয়টিতে জোর আরোপ করেন। একই সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক সহায়তা ও দিকনির্দেশনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সকল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ভার্চুয়াল এজিএমে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, পরিচালক তাবাসসুম কায়সার, হোসেন মেহমুদ, সৈয়দা শায়রীন আজিজ, সাভেরা এইচ মাহমুদ, রেবেকা ব্রুসন্যান, স্বতন্ত্র পরিচালক মতিউল ইসলাম নওশাদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মো. মাহবুবুর রহমানসহ শেয়ারহোল্ডাররা।

বিজনেস আওয়ার/৫ জুলাই, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সিটি ব্যাংকের গড় ব্যালেন্স বৃদ্ধি ৯ শতাংশ

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গত ৩ বছরে ব্যাংকের গড় ব্যালেন্স শীট ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে এই বৃদ্ধি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও সিটি ব্যাংকের সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার।

গতকাল মঙ্গলবার সিটি ব্যাংকের ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে তিনি এসম কথা বলেন। এজিএমে ২০২২ সমাপ্ত বছরের (জানুয়ারী-ডিসেম্বর) ব্যাংকটির নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী উপস্থাপন করা হয়। পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডাররা ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সুপারিশ করা ১০ শতাংশ নগদ এবং ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন হয়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানির পরিচালক নিয়োগ, স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ, নিরীক্ষক ও তার পারিশ্রমিক নির্ধারন এজেন্ডা অনুমোদন হয়েছে।

ব্যাংকের সম্ভাবনাময় সুযোগসমূহ ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন আজিজ আল কায়সার বলেন, ২০২২ সালে সিটি ব্যাংকের নীট মুনাফা হয়েছে ৪৭৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। গত ৩ বছরে ব্যাংকের গড় ব্যালেন্স শীট ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে এই বৃদ্ধি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও সিটি ব্যাংকের আর্থিক ফলাফল, স্থিতিস্থাপকতা এবং সৃজনশীলতা অক্ষুন্ন রেখে সামনে এগিয়ে এসেছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী এবং ইউরোপের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও বিচক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় সিটি ব্যাংকের ২০২২ সালে ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। যা একটি স্থিতিশীল এবং আরো ভিজিলেন্ট রিস্ক রিটার্ন স্ট্রাকচার গড়ে তোলার লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। ২০১৯ সালের প্রাক-কোভিড সময়ে আমাদের ২৫০ কোটি টাকা থেকে ২০২২ সালে বেড়ে ৪৫০ কোটি টাকাতে এসে দাঁড়িয়েছে।

সার্বিক চিত্র শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তুলে ধরে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মাসরুর আরেফিন প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও ব্যালান্স শিটের বিশাল প্রবৃদ্ধির সাপেক্ষে মূলধন পর্যাপ্ততার বিষয়টিতে জোর আরোপ করেন। একই সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক সহায়তা ও দিকনির্দেশনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সকল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ভার্চুয়াল এজিএমে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, পরিচালক তাবাসসুম কায়সার, হোসেন মেহমুদ, সৈয়দা শায়রীন আজিজ, সাভেরা এইচ মাহমুদ, রেবেকা ব্রুসন্যান, স্বতন্ত্র পরিচালক মতিউল ইসলাম নওশাদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মো. মাহবুবুর রহমানসহ শেয়ারহোল্ডাররা।

বিজনেস আওয়ার/৫ জুলাই, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: