ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্বেতি রোগ নিয়ে যত ভুল ধারণা

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
  • 90

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: শ্বেতির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। মুশকিল হল, এই রোগ কার শরীরে কখন হানা দেবে, তা আগে থেকে তার টের পাওয়া দুষ্কর। এটি শরীরে বাসা বাঁধলে তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগের ফলে শরীরের যতটা না ক্ষতি হয়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় মানসিক।

অনেকের ভয় শ্বেতি ছোঁয়াচে রোগ। তবে এই ধারণা একেবারেই ভুল। শ্বেতি রোগি কাউকে স্পর্শ করলে বা তার ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করলে শ্বেতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। জিনগত কারণে ও পরিবেশগত কারণে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।

শ্বেতির সঙ্গে পরিচ্ছন্ন থাকা বা না থাকারও কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি ‘অটোইমিউন ডিজঅর্ডার’। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে শ্বেতি হবে না, এমন ধারণা ভুল।

অনেকের আবার ধারণা যাদের চামড়ার রং বেশি গাঢ়, তাদেরই শ্বেতি হয়। এমন ধারণাও ভুল। গায়ের রং খুব ফর্সা হলেও কিন্তু শ্বেতি হতে পারে। গায়ের রঙের সঙ্গে এই রোগের সম্পর্ক নেই।

শ্বেতি নিয়ে আরও একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে শ্বেতি হয়। এ ধারণাও ভুল। অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে, তবে শ্বেতির জন্য দায়ী নয়। তবে অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে শ্বেতি হতে পারে।

ওষুধ ও অস্ত্রোপচার দু’ভাবেই শ্বেতি রোগের চিকিৎসা হতে পারে। ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে চিকিৎসকেরা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ও ক্রিম দেন। কিছু ক্ষেত্রে ফোটোকেমো থেরাপিও করানো হয় বা আক্রান্ত অংশে ওষুধ লাগিয়ে রোদে দাঁড়িয়ে অতিবেগুনি রশ্মিও গায়ে লাগানোর কথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা।

বিজনেস আওয়ার/৬ জুলাই, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শ্বেতি রোগ নিয়ে যত ভুল ধারণা

পোস্ট হয়েছে : ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: শ্বেতির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। মুশকিল হল, এই রোগ কার শরীরে কখন হানা দেবে, তা আগে থেকে তার টের পাওয়া দুষ্কর। এটি শরীরে বাসা বাঁধলে তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগের ফলে শরীরের যতটা না ক্ষতি হয়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় মানসিক।

অনেকের ভয় শ্বেতি ছোঁয়াচে রোগ। তবে এই ধারণা একেবারেই ভুল। শ্বেতি রোগি কাউকে স্পর্শ করলে বা তার ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করলে শ্বেতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। জিনগত কারণে ও পরিবেশগত কারণে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।

শ্বেতির সঙ্গে পরিচ্ছন্ন থাকা বা না থাকারও কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি ‘অটোইমিউন ডিজঅর্ডার’। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে শ্বেতি হবে না, এমন ধারণা ভুল।

অনেকের আবার ধারণা যাদের চামড়ার রং বেশি গাঢ়, তাদেরই শ্বেতি হয়। এমন ধারণাও ভুল। গায়ের রং খুব ফর্সা হলেও কিন্তু শ্বেতি হতে পারে। গায়ের রঙের সঙ্গে এই রোগের সম্পর্ক নেই।

শ্বেতি নিয়ে আরও একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে শ্বেতি হয়। এ ধারণাও ভুল। অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে, তবে শ্বেতির জন্য দায়ী নয়। তবে অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে শ্বেতি হতে পারে।

ওষুধ ও অস্ত্রোপচার দু’ভাবেই শ্বেতি রোগের চিকিৎসা হতে পারে। ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আনতে চিকিৎসকেরা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ও ক্রিম দেন। কিছু ক্ষেত্রে ফোটোকেমো থেরাপিও করানো হয় বা আক্রান্ত অংশে ওষুধ লাগিয়ে রোদে দাঁড়িয়ে অতিবেগুনি রশ্মিও গায়ে লাগানোর কথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা।

বিজনেস আওয়ার/৬ জুলাই, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: