ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূর্বাঞ্চলে প্লটসহ হাসিনার আছে কয়েক কোটি টাকা, মেয়েকে দেন ৫ কোটি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • 9

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের আদেশের পাশাপাশি তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশনাও দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আদালতের এই আদেশের পর তাদের সম্পদের পরিমাণ কত- এই প্রশ্নই সবার মুখে মুখে ঘুরছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জমা দেওয়া শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের হলফনামা, আয়কর রিটার্ন ও সম্পদ বিবরণী থেকে তাদের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

ইসিতে জমা দেওয়া শেখা হাসিনার সম্পাদ বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্বাচলে ১০ কাঠা আয়তনের প্লট, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১৫ দশমকি ৩ বিঘা কৃষিজমি এবং সেখানে তিনতলা ভবনাসহ ৬.১০ শতাংশ (আংশিক) জমি রয়েছে।

এদিকে ২০২৪ সালে জমা দেওয়া আয়কর রিটার্নে সম্পদের বিবরণীতে টুঙ্গিপাড়া, গাজীপুর ও রংপুরে ১৫ দশমিক ৫০ বিঘা অকৃষি জমি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে; যেখানে ৬ দশমিক ৬৫ ডেসিমেল জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সোয়া ১৩ লাখ টাকার গয়না, সাড়ে ৭ লাখ টাকার আসবাবপত্র, দুটি গাড়ি, এসি, ব্যাংকে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকাসহ মোট ৪ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ১৯১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে শেখ হাসিনার। সেখানে বলা হয়েছে, আগের অর্থবছরে তার মোট সম্পদ ছিল ৯ কোটি ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭০৮ টাকা, সেখান থেকে তিনি কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে উপহার দেন ৫ কোটি টাকা।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ইসিতে দেওয়া হলফনামায়, ১৫ দশমকি ৩ বিঘা কৃষিজমির অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয় ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। পূর্বাঞ্চলের অকৃষি জমি অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয় ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। তিনতলা ভবন ৬ দশমিক ১০ শতকের (আংশিক) অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয় ৫ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে হলফনামায় তিনি দেখিয়েছিলেন ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৯৬ হাজার ১০৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ।

যদিও দুর্নীতি দমন কমিশন বলছে, শেখ হাসিনা সম্পদের তথ্য হলফনামায় গোপন করেছেন। এজন্য ইসিকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল। তবে নির্বাচন কমিশন বলেছে, এখন আর তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কোনো আইন নেই। শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।

এদিকে ঢাকা-১২ আসনে থেকে সংসদ সদস্য হন হয়েছিলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি হফনামায় হাতে নগদ ৮৪ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৮২ লাখ টাকা, বন্ড ও শেয়ার ২৪ লাখ টাকা এবং ডাকঘর, সঞ্চয়পত্র অথবা স্থায়ী আমানত দেখিয়েছিলেন ২ কোটি ১ লাখ টাকার। সম্পদ বিবরণীতে তিনি দুটি গাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা, আসবাব ২ লাখ টাকার, ঋণ বাবদ ব্যবসার মূলধন ২ কোটি ২০ লাখ টাকার কথাও উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৭১ শতাংশ কৃষিজমির অর্জনকালীন মূল্য ১ কোটি ৬ লাখ টাকা, সাড়ে ১৮ শতাংশ অকৃষি জমির অর্জনকালীন মূল্য সাড়ে ৫৮ লাখ টাকা, বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য দেখিয়েছেন প্রায় ১ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বিজনেস আওয়ার/ ১৯ নভেম্বর / কাওছার

ট্যাগস

পূর্বাঞ্চলে প্লটসহ হাসিনার আছে কয়েক কোটি টাকা, মেয়েকে দেন ৫ কোটি

আপডেট সময় ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের আদেশের পাশাপাশি তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশনাও দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আদালতের এই আদেশের পর তাদের সম্পদের পরিমাণ কত- এই প্রশ্নই সবার মুখে মুখে ঘুরছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জমা দেওয়া শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের হলফনামা, আয়কর রিটার্ন ও সম্পদ বিবরণী থেকে তাদের সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

ইসিতে জমা দেওয়া শেখা হাসিনার সম্পাদ বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্বাচলে ১০ কাঠা আয়তনের প্লট, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১৫ দশমকি ৩ বিঘা কৃষিজমি এবং সেখানে তিনতলা ভবনাসহ ৬.১০ শতাংশ (আংশিক) জমি রয়েছে।

এদিকে ২০২৪ সালে জমা দেওয়া আয়কর রিটার্নে সম্পদের বিবরণীতে টুঙ্গিপাড়া, গাজীপুর ও রংপুরে ১৫ দশমিক ৫০ বিঘা অকৃষি জমি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে; যেখানে ৬ দশমিক ৬৫ ডেসিমেল জমি সরকার অধিগ্রহণ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সোয়া ১৩ লাখ টাকার গয়না, সাড়ে ৭ লাখ টাকার আসবাবপত্র, দুটি গাড়ি, এসি, ব্যাংকে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকাসহ মোট ৪ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ১৯১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে শেখ হাসিনার। সেখানে বলা হয়েছে, আগের অর্থবছরে তার মোট সম্পদ ছিল ৯ কোটি ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭০৮ টাকা, সেখান থেকে তিনি কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে উপহার দেন ৫ কোটি টাকা।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ইসিতে দেওয়া হলফনামায়, ১৫ দশমকি ৩ বিঘা কৃষিজমির অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয় ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। পূর্বাঞ্চলের অকৃষি জমি অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয় ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। তিনতলা ভবন ৬ দশমিক ১০ শতকের (আংশিক) অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয় ৫ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে হলফনামায় তিনি দেখিয়েছিলেন ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৯৬ হাজার ১০৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ।

যদিও দুর্নীতি দমন কমিশন বলছে, শেখ হাসিনা সম্পদের তথ্য হলফনামায় গোপন করেছেন। এজন্য ইসিকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল। তবে নির্বাচন কমিশন বলেছে, এখন আর তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কোনো আইন নেই। শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।

এদিকে ঢাকা-১২ আসনে থেকে সংসদ সদস্য হন হয়েছিলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি হফনামায় হাতে নগদ ৮৪ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৮২ লাখ টাকা, বন্ড ও শেয়ার ২৪ লাখ টাকা এবং ডাকঘর, সঞ্চয়পত্র অথবা স্থায়ী আমানত দেখিয়েছিলেন ২ কোটি ১ লাখ টাকার। সম্পদ বিবরণীতে তিনি দুটি গাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা, আসবাব ২ লাখ টাকার, ঋণ বাবদ ব্যবসার মূলধন ২ কোটি ২০ লাখ টাকার কথাও উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৭১ শতাংশ কৃষিজমির অর্জনকালীন মূল্য ১ কোটি ৬ লাখ টাকা, সাড়ে ১৮ শতাংশ অকৃষি জমির অর্জনকালীন মূল্য সাড়ে ৫৮ লাখ টাকা, বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য দেখিয়েছেন প্রায় ১ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বিজনেস আওয়ার/ ১৯ নভেম্বর / কাওছার