বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বন্দর ইজারা ও আরাকান করিডর দেওয়ার নামে দেশকে সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টার অভিযোগ করে, এর প্রতিবাদে রাজধানীতে মশাল মিছিল হয়েছে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলিস্তান থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এনডিএফ ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান খান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত। এতে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম জাহাঙ্গীর হোসেন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির। সংগঠনটি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লালদিয়া টার্মিনাল ও পানগাঁও বন্দর পরিচালনা-নির্মাণ চুক্তি জাতীয় স্বার্থবিরোধীভাবে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পক্ষে করা হয়েছে। জনগণকে না জানিয়ে গোপনে শর্তযুক্ত এসব চুক্তি সম্পন্ন করার ঘটনায় সমাবেশে বক্তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা দাবি করেন, শেখ হাসিনার বিচার ও ধানমন্ডিতে ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে রেখে ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে’ এ চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া এবং আরাকানের সঙ্গে করিডর দেওয়ার উদ্যোগ একই সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনার অংশ। দুবাই কিংবা ডেনমার্ক, যে দেশের কোম্পানিকেই ইজারা দেওয়া হোক না কেন, এসব উদ্যোগের পেছনে রয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন চীনবিরোধী ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশ্বস্ত সহযোগী’ হিসেবে এসব পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছেন।
এনডিএফ নেতারা দাবি করেন, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী এ সংকটময় সময়ে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও আওয়ামী লীগ- সব প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল নীরব থেকে শুধু সংস্কার, সনদ ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত, যা জনগণের মনোযোগ বিভ্রান্ত করার কৌশল।
বক্তারা শ্রমিক, কৃষক ও জনগণের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বন্দর ও করিডর বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে নগরবাসীকে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
মশাল মিছিল ও সমাবেশে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, জাতীয় ছাত্রদল, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট-সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ স’মিল শ্রমিক ফেডারেশন, সিএনজিচালক সংগ্রাম পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস আওয়ার/ ১৯ নভেম্বর / কাওছার























