বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৯৩ জন। একই সময় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৪৩ জন। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনসহ এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ ৪ হাজার ৮৫৯ জনে। করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে সুস্থ রোগীর সংখাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ২ হাজার ৪৪৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়ালো ২ লাখ ৫০ হাজার ৪১২ জনে।
একইসময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৯৩ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৪৪ হাজার ২৬৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ৭৬৯টি নমুনা সংগ্রহ হয়। পরীক্ষা হয়েছে- ১৩ হাজার ৬৭৩টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৭৯টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭২ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪১ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের পুরুষ তিন হাজার ৭৮৮ (৭৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৭১ জন (২২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ)।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৬ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব দুজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন এবং ষাটোর্ধ্ব ২১ জন রয়েছেন। বিভাগ অনুযায়ী, ৩৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে ৫, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ২, বরিশালে ৩, সিলেটে একজন এবং রংপুরের একজন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম কোন রোগীর মৃত্যু হয়।
বিজনেস আওয়ার/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ