বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: প্রশ্ন শুনে দুজনেরই একটু বিরক্তি চলে আসে। লিটন দাস প্রতিক্রিয়া না দেখালেও কাজী নুরুল হাসান সোহান নিয়ন্ত্রণ হারালেন। ‘বিপিএলে অফ-অর্ম…।’ – প্রশ্নের বাকিটা বুঝে দুজনেই আগেভাগে উত্তর দেওয়া শুরু করেন। কুমিল্লার অধিনায়ক লিটনের উত্তরটা শুরুতে ছিল এক কথায় প্রকাশের মতো, ‘ভালো… খারাপ না।’

বিপিএলে এখন পর্যন্ত তার ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের মূল্যায়ন এতোটুকুই। পরবর্তীতে দেন দীর্ঘ উত্তর। আর রংপুরের অধিনায়ক হারালেন মেজাজ, ‘অফ ফর্ম বলতে…? ব্যাটে রান হচ্ছে না বলতে।’ সোহান কথা চালিয়ে যান এভাবে, ‘আমি কি ১২ ম্যাচের মধ্যে ১২ ম্যাচেই রান করব, ভাইয়া? পাঁচটা ম্যাচে যে অবদান রেখেছি, দেখেছেন? হয়তো আপনি আমাকে পছন্দ করেন না, নাহলে খেলা বোঝেন না। খেলা বুঝলে অবশ্যই… আমি যে নির্দিষ্ট জায়গায় খেলছি, আপনি পরিসংখ্যান দেখবেন যে কত রান করেছি। দুইশ’র বেশি রান করেছি। কোন জায়গায় ব্যাটিং করেছি, কিপিংয়ে কী করছি, এগুলো দেখে তারপর প্রশ্ন করা উচিত।’

সোহান যে পজিশনে ব্যাটিং করেন সেখানে দলের হয়ে কেবল অবদান রাখতে হয়। ঝুঁকি নিয়ে রান করতে হয়। তবে শেষ দুয়েকটি ম্যাচে বিপযর্য়ে দলের হাল ধরতে পারেননি তিনি।

তবে সামগ্রিক বিচারে তার পারফরম্যান্স কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর মতো নয় একদমই। ১২ ইনিংসে তার রান ২০৭, উইকেটের পেছনে ডিসমিসাল ১৪টি, যা আসরের সর্বোচ্চ। দল তার পারফরম্যান্সে খুশি তা তেজদ্বীপ্ত গলায় বলেছেন সোহান, ‘দলের জন্য অবদান রাখার লক্ষ্য থাকে সবসময়। দল আমার কাছে কী চাচ্ছে, আমি ওটা দিতে পারছি কী না… এটাই মূল লক্ষ্য থাকে। ওটাই আসলে করার চেষ্টা করব।’

একই অবস্থা লিটনেরও। কুমিল্লার হয়ে তার শুরুটা ভালো ছিল না। পাঁচ ম্যাচে একবারও বিশ রানে পৌছতে পারেননি। পরবর্তীতে সাত ম্যাচে করেছেন ২৫৫ রান। সব মিলিয়ে প্রথম পর্বের ১২ ম্যাচে করেছেন ২৯২ রান। নিজের পারফরম্যান্স অসন্তুষ্ট নন লিটন। তবে এই রানকে নিয়ে যেতে চান চারশ’র চূঁড়ায়।

লিটন বলেছেন, ‘প্রতিটা ব্যাটসম্যান প্রতিদিন রান করবে না। এটাই সত্যি। খুবই যে খারাপ খেলেছি, তাও না। প্রায় তিন‘শ রানের কাছাকাছি চলে গেছি। যে ভালো খেলেছে, তার হয়তো চারশ রান বা এমন কিছু। এখনও হয়তো দুইটা খেলা বাকি আছে। দেখা যাক…। আমি যদি নিজের পারফরম্যান্সটা করতে পারি, অবশ্যই চারশ’র বেশি করার সুযোগ থাকবে।’

লিটন বলেন- ‘আগেও বলেছি, টুর্নামেন্টটা অনেক লম্বা। এখানে একজন ব্যাটসম্যান বা বোলার দুই-তিন ম্যাচ খারাপ খেললেও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ সবসময়ই থাকে। আমারও মনে হয়, এই জিনিসটাই ছিল। অনুশীলন করেছি, কঠোর পরিশ্রম করেছি। বলব না যে, শতভাগ ফল পেয়েছি। তবে উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আমি কাজ করে যাচ্ছি।’ সোমবারই তারা মুখোমুখি হতে যাচ্ছে প্রথম কোয়ালিফায়ারে। কার মুখে হাসি ফোটে সেটাই দেখার।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ