ঢাকা , সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাহালম কাণ্ড: হাইকোর্টের রায় ২৯ সেপ্টেম্বর

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 7

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দুদকের ২৬ মামলায় বিনা দোষে ভুল আসামি হয়ে প্রায় ৩ বছর কারাভোগ করা পাটকল শ্রমিক জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্যে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। এই মামলাসহ ৫টি মামলার রায়ের জন্য বেঞ্চটি গঠন করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত বেঞ্চটি বসবেন।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত কার্যতালিকায় মামলাটি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের ২৯ সেপ্টেম্বরের কার্যতালিকায় রায়ের জন্য ১ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে। এরআগে জাহালমের ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন বলে অপেক্ষমান রাখেন আদালত।

এ প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আজকে কজলিস্ট দেখলাম। মামলাটি রায়ের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর এক নম্বর আইটেম হিসেবে রাখা হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি শেষে মামলাটি সিএভি রাখা হয়েছিল। অর্থাৎ যে কোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয়।

শুনানিতে আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান ও সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া রুলও জারি করেন আদালত।

একই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজিরের পর হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন এবং দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। সে আদেশ অনুসারে দুদক হলফনামা আকারে তা উপস্থাপন করেন। পরে জাহালম প্রশ্নে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ৩৩ মামলার এফআইআর, চার্জশিট, সম্পূরক চার্জশিট ও সব ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেন।

এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট গত ১৭ এপ্রিল জাহালম কাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে এসব মামলায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।

জানা যায়, আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন এই জাহালম। তিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ২৬টি মামলা হয়।

কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন জাহালম। যিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। যেঘটনার তদন্ত করে দুদক বলছে, জাহালম নিরপরাধ। একই মত দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

বিজনেস আওয়ার/২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জাহালম কাণ্ড: হাইকোর্টের রায় ২৯ সেপ্টেম্বর

পোস্ট হয়েছে : ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দুদকের ২৬ মামলায় বিনা দোষে ভুল আসামি হয়ে প্রায় ৩ বছর কারাভোগ করা পাটকল শ্রমিক জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্যে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। এই মামলাসহ ৫টি মামলার রায়ের জন্য বেঞ্চটি গঠন করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত বেঞ্চটি বসবেন।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত কার্যতালিকায় মামলাটি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের ২৯ সেপ্টেম্বরের কার্যতালিকায় রায়ের জন্য ১ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে। এরআগে জাহালমের ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন বলে অপেক্ষমান রাখেন আদালত।

এ প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আজকে কজলিস্ট দেখলাম। মামলাটি রায়ের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর এক নম্বর আইটেম হিসেবে রাখা হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি শেষে মামলাটি সিএভি রাখা হয়েছিল। অর্থাৎ যে কোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয়।

শুনানিতে আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান ও সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া রুলও জারি করেন আদালত।

একই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজিরের পর হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন এবং দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। সে আদেশ অনুসারে দুদক হলফনামা আকারে তা উপস্থাপন করেন। পরে জাহালম প্রশ্নে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির ৩৩ মামলার এফআইআর, চার্জশিট, সম্পূরক চার্জশিট ও সব ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেন।

এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট গত ১৭ এপ্রিল জাহালম কাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে এসব মামলায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।

জানা যায়, আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন এই জাহালম। তিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ২৬টি মামলা হয়।

কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন জাহালম। যিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। যেঘটনার তদন্ত করে দুদক বলছে, জাহালম নিরপরাধ। একই মত দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

বিজনেস আওয়ার/২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: