ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর না দেওয়ার তালিকায় ৮৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • 5

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কোনো কোম্পানি নিবন্ধন পাওয়ার পর লাভ-লোকসান যা-ই হোক না কেন আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান গড়িমসি করে রিটার্ন দেয় না। অনেক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিয়ে রাখলেও শুরু করেনি ব্যবসা। আবার অনেকেই ব্যবহার করছে ভুয়া ঠিকানা। আর এসব কারণে প্রতিবছর বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিটার্ন দাখিল করেছে ৩৩ হাজার ৯০৫টি কম্পানি। যা দেশের মোট কোম্পানি সংখ্যার হিসাবে ১২ শতাংশেরও (১১ দশমিক ৯৪) কম। অর্থাৎ গত অর্থবছরে ৮৮ শতাংশেরও বেশি প্রতিষ্ঠান কর দেয়নি।

রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসি) হিসাব বলছে, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নিবন্ধিত পাবলিক ও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সংখ্যা দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫৮টি। অথচ অল্পসংখ্যক প্রতিষ্ঠান সরকারকে কর দিয়েছে। বিদায়ি অর্থবছরে আয়কর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয় এক লাখ ১৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা।

৩৩ হাজার ৯০৫টি কোম্পানি রিটার্ন দাতাসহ ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রিটার্ন দাতার সংখ্যা ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ২৬৩ জন। বাকি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৮ জন ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা। গত অর্থবছরে রিটার্ন দাতা বেড়েছে প্রায় ১০ লাখ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানি করদাতাদের কাছ থেকে কর আদায় করতে পারলে সহজেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হতো। যদিও কম্পানি সংশ্লিষ্টদের দাবি, করপোরেট করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া আরো সহজ করতে ডিজিটাল ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা দরকার।

বর্তমানে কর্পোরেট করদাতাদের এক বছরের মধ্যে ২৬ ধরনের নথি জমা দিতে হয়, যা অনেক জটিল। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ বলেন, কর্পোরেট ট্যাক্স রিটার্ন পরিশোধের নিয়ম নিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তাদের আরো উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। তারা কেন সময়মতো রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছে, তা নিয়ে এনবিআরের গবেষণা করা প্রয়োজন। রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজ করা, অটোমেশন বাস্তবায়ন এবং নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোকে ফলোআপ করা প্রয়োজন। বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ২০ শতাংশ, তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, তালিকাবহির্ভূত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৪০ শতাংশ, মার্চেন্ট ব্যাংকের ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিগারেট কোম্পানির ৪৫ শতাংশ, তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটরের ৪০ শতাংশ ও তালিকাবহির্ভূত মোবাইল অপারেটরের ৪৫ শতাংশ করপোরেট কর বিদ্যমান আছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৯ আগস্ট,২০২৩/এসএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কর না দেওয়ার তালিকায় ৮৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান

পোস্ট হয়েছে : ০১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কোনো কোম্পানি নিবন্ধন পাওয়ার পর লাভ-লোকসান যা-ই হোক না কেন আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান গড়িমসি করে রিটার্ন দেয় না। অনেক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিয়ে রাখলেও শুরু করেনি ব্যবসা। আবার অনেকেই ব্যবহার করছে ভুয়া ঠিকানা। আর এসব কারণে প্রতিবছর বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিটার্ন দাখিল করেছে ৩৩ হাজার ৯০৫টি কম্পানি। যা দেশের মোট কোম্পানি সংখ্যার হিসাবে ১২ শতাংশেরও (১১ দশমিক ৯৪) কম। অর্থাৎ গত অর্থবছরে ৮৮ শতাংশেরও বেশি প্রতিষ্ঠান কর দেয়নি।

রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসি) হিসাব বলছে, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নিবন্ধিত পাবলিক ও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সংখ্যা দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫৮টি। অথচ অল্পসংখ্যক প্রতিষ্ঠান সরকারকে কর দিয়েছে। বিদায়ি অর্থবছরে আয়কর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয় এক লাখ ১৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা।

৩৩ হাজার ৯০৫টি কোম্পানি রিটার্ন দাতাসহ ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রিটার্ন দাতার সংখ্যা ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ২৬৩ জন। বাকি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৮ জন ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা। গত অর্থবছরে রিটার্ন দাতা বেড়েছে প্রায় ১০ লাখ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানি করদাতাদের কাছ থেকে কর আদায় করতে পারলে সহজেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হতো। যদিও কম্পানি সংশ্লিষ্টদের দাবি, করপোরেট করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া আরো সহজ করতে ডিজিটাল ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা দরকার।

বর্তমানে কর্পোরেট করদাতাদের এক বছরের মধ্যে ২৬ ধরনের নথি জমা দিতে হয়, যা অনেক জটিল। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ বলেন, কর্পোরেট ট্যাক্স রিটার্ন পরিশোধের নিয়ম নিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তাদের আরো উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। তারা কেন সময়মতো রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছে, তা নিয়ে এনবিআরের গবেষণা করা প্রয়োজন। রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজ করা, অটোমেশন বাস্তবায়ন এবং নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোকে ফলোআপ করা প্রয়োজন। বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ২০ শতাংশ, তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, তালিকাবহির্ভূত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৪০ শতাংশ, মার্চেন্ট ব্যাংকের ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিগারেট কোম্পানির ৪৫ শতাংশ, তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটরের ৪০ শতাংশ ও তালিকাবহির্ভূত মোবাইল অপারেটরের ৪৫ শতাংশ করপোরেট কর বিদ্যমান আছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৯ আগস্ট,২০২৩/এসএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: