বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আগস্ট মাস শেষে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকার কিছু বেশি, যা আগের মাস জুলাইয়ের তুলনায় কম।
চলতি বছরের জুলাইয়ে দেশের ব্যাংকিং বা বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে মোট ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে, জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে রেমিট্যান্স কমেছে ১৮.৭৮ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সবশেষ রেমিট্যান্সের নিম্ন অবস্থা দেখা যায় ফেব্রুয়ারিতে, তখন ১.৫৬ বিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয় পায় বাংলাদেশ।
প্রবাসী আয় প্রবাহে এই পতনের বিষয়ে ব্যাংকাররা জানান, বাজারদরের চেয়ে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের ডলারের কম দাম দিচ্ছে। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমে, বেড়ে গেছে হুন্ডি। আগস্ট মাসে ব্যাংক খাতে ডলারের দর ছিল ১০৯ টাকা।
গত ৩১ আগস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) রেমিট্যান্সে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া, রেমিট্যান্সের বিনিময় হারে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো আয় ১০.২৭ কমেছিল জুলাই মাসে। ওই মাসে মোট ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে যার পরিমাণ ছিল ২.০৯ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, এ বছরের জুনে বাংলাদেশ ২.১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
জুন মাসে ছিল ঈদুল আজহা। ঈদের উপলক্ষে রেমিট্যান্স প্রবাহ চাঙ্গা থাকে। কিন্তু, ঈদের পর প্রবাসী আয় কমার স্বাভাবিক প্রবণতাকেই ধারাবাহিক এ পতনের জন্য দায়ী করছেন ব্যাংকাররা।
বিজনেস আওয়ার/০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এএইচএ