ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অষ্টম-নবমের শিক্ষার্থীর কোচিং ব্যয় সবোর্চ্চ ৩ হাজার

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 34

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনার ( কোভিড ১৯) পরবর্তী শিখন কার্যক্রমে অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৮৫ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর প্রাইভেট টিউটর বা কোচিংয়ে তাদের নির্ভরতা বেশি ছিল। এজন্য প্রতি মাসে এগারোশ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) গণসাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘মহামারি উত্তর শিক্ষা: স্কুল শিক্ষার পুনরুদ্ধার ও আগামীর অভিযাত্রা’ শীর্ষক এডুকেশন ওয়াচ-২০২২ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গবেষণার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় অক্টোবরে।

গবেষণায় বলা হয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৮৫ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে প্রাইভেট টিউটর বা কোচিংয়ে তাদের নির্ভরতা বেশি ছিল। একই রকম চিত্র দেখা গেছে, শহর ও গ্রামাঞ্চলসহ সকল ক্লাস্টারে।

অভিভাবকদের তথ্য মতে, অষ্টম শ্রেণির ৬৪ শতাংশ এবং নবম শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউটরিংয়ের জন্য প্রতি মাসে এগারোশ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে। ৭৯ শতাংশ প্রাথমিক এবং ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী তাদের পাঠ এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাণিজ্যিক গাইডবই অনুসরণ করেছে। ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে প্রাথমিক পর্যায়ে গড়ে ৬৬৯ টাকা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৬৫ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়।

অংশীজনদের মতে, তবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকার একটি ইতিবাচক চিত্র লক্ষ্য করা গেছে বলে জানান অভিভাবকরা। স্কুলের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে অভিভাবকরা সন্তুষ্ট ছিলেন। সমীক্ষার সকল ক্লাস্টারে একই রকম চিত্র পাওয়া গেছে। তবে, তাদের সন্তুষ্টি থেকে অবশ্যই এটা বোঝা যায় না যে, স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত শিখনফল অর্জনে সহায়তা করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ, শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কোচিং এবং বাণিজ্যিক গাইডবইয়ের ওপর বেশি নির্ভরতাও লক্ষ্য করা গেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রদশেদাকে চৌধুরীর সভাপতিত্বে এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপার্সন ড. কাজী খলীকুজ্জমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিখন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদাৎ হোসেন, কাজী ফারুক আহমেদ, এডুকেশন ওয়াচের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিজনেস আওয়ার/৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

অষ্টম-নবমের শিক্ষার্থীর কোচিং ব্যয় সবোর্চ্চ ৩ হাজার

পোস্ট হয়েছে : ০২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনার ( কোভিড ১৯) পরবর্তী শিখন কার্যক্রমে অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৮৫ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর প্রাইভেট টিউটর বা কোচিংয়ে তাদের নির্ভরতা বেশি ছিল। এজন্য প্রতি মাসে এগারোশ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) গণসাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘মহামারি উত্তর শিক্ষা: স্কুল শিক্ষার পুনরুদ্ধার ও আগামীর অভিযাত্রা’ শীর্ষক এডুকেশন ওয়াচ-২০২২ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গবেষণার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় অক্টোবরে।

গবেষণায় বলা হয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৮৫ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে প্রাইভেট টিউটর বা কোচিংয়ে তাদের নির্ভরতা বেশি ছিল। একই রকম চিত্র দেখা গেছে, শহর ও গ্রামাঞ্চলসহ সকল ক্লাস্টারে।

অভিভাবকদের তথ্য মতে, অষ্টম শ্রেণির ৬৪ শতাংশ এবং নবম শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউটরিংয়ের জন্য প্রতি মাসে এগারোশ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে। ৭৯ শতাংশ প্রাথমিক এবং ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী তাদের পাঠ এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাণিজ্যিক গাইডবই অনুসরণ করেছে। ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে প্রাথমিক পর্যায়ে গড়ে ৬৬৯ টাকা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৬৫ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়।

অংশীজনদের মতে, তবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকার একটি ইতিবাচক চিত্র লক্ষ্য করা গেছে বলে জানান অভিভাবকরা। স্কুলের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে অভিভাবকরা সন্তুষ্ট ছিলেন। সমীক্ষার সকল ক্লাস্টারে একই রকম চিত্র পাওয়া গেছে। তবে, তাদের সন্তুষ্টি থেকে অবশ্যই এটা বোঝা যায় না যে, স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত শিখনফল অর্জনে সহায়তা করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ, শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কোচিং এবং বাণিজ্যিক গাইডবইয়ের ওপর বেশি নির্ভরতাও লক্ষ্য করা গেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রদশেদাকে চৌধুরীর সভাপতিত্বে এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপার্সন ড. কাজী খলীকুজ্জমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিখন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদাৎ হোসেন, কাজী ফারুক আহমেদ, এডুকেশন ওয়াচের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিজনেস আওয়ার/৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: