ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুদকের চার্জশিট, প্রকৌশলী স্বামীর চেয়ে সম্পদ বেশি গৃহিণী স্ত্রীর

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 4

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ১৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহ ও তার স্ত্রী আতিকা খাতুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুমোদিত চার্জশিটে প্রকৌশলী স্বামী ইকরামের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। কিন্তু তার স্ত্রী পেশায় গৃহিণী হওয়া স্বত্ত্বেও তার অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭৮ টাকা। এছাড়া স্বামী ইকরাম উল্লাহর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথক দুই দায়ের মামলার চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মানসী বিশ্বাস চার্জশিট আদালতে দাখিল করবেন বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করছিলেন। ওই মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সম্পদের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে ৩ কোটি ৬৭ লাখ ২ হাজার ২০৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদর্শন না করে তা গোপন করেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ১০১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা গোপন করার জন্য ব্যাংক থেকে উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানান্তর করেছেন বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার স্বপক্ষে তিনি কোনো দলিল দেখাতে পারেননি।

অন্যদিকে তার স্ত্রী আসামি আতিকা খাতুন দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে ৬ কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার ৯২৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। আর অনুসন্ধানে আতিকার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৯১ লাখ ৭২ হাজার ১১৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিজনেস আওয়ার/১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দুদকের চার্জশিট, প্রকৌশলী স্বামীর চেয়ে সম্পদ বেশি গৃহিণী স্ত্রীর

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ১৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহ ও তার স্ত্রী আতিকা খাতুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুমোদিত চার্জশিটে প্রকৌশলী স্বামী ইকরামের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। কিন্তু তার স্ত্রী পেশায় গৃহিণী হওয়া স্বত্ত্বেও তার অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭৮ টাকা। এছাড়া স্বামী ইকরাম উল্লাহর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার মানিলন্ডারিং অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথক দুই দায়ের মামলার চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মানসী বিশ্বাস চার্জশিট আদালতে দাখিল করবেন বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করছিলেন। ওই মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সম্পদের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে ৩ কোটি ৬৭ লাখ ২ হাজার ২০৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদর্শন না করে তা গোপন করেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ১০১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা গোপন করার জন্য ব্যাংক থেকে উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানান্তর করেছেন বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার স্বপক্ষে তিনি কোনো দলিল দেখাতে পারেননি।

অন্যদিকে তার স্ত্রী আসামি আতিকা খাতুন দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে ৬ কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার ৯২৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। আর অনুসন্ধানে আতিকার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৯১ লাখ ৭২ হাজার ১১৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিজনেস আওয়ার/১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: