ঢাকা , রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়ালটনের নতুন চমক সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের ফ্রিজ

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : স্থানীয় বাজারে দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের নতুন চমক হচ্ছে এক দরজা বিশিষ্ট সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের রেফ্রিজারেটর। ছোট পরিবার থেকে শুরু করে ব্যাচেলর, ফার্মেসি, হাসপাতাল, হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, দোকনে ব্যবহার উপযোগি ওয়ালটনের এই মডেলের রেফ্রিজারেটর।

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে অত্যাধুনিক রেফ্রিজারেটর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে তৈরি করা হচ্ছে ৫০ লিটার থেকে ২২৫ লিটার পর্যন্ত বিভিন্ন ধারণক্ষমতার সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ। অন্যান্য মডেলের তুলনায় এই ফ্রিজের ব্যবহারযোগ্য জায়গা অনেক বেশি। এই ফ্রিজে নরমাল অংশ রয়েছে ৯০ শতাংশ এবং ডিপ অংশ ১০ শতাংশ। একই সাইজের রেগুলার ফ্রিজের তুলনায় ওয়ালটনের এই ফ্রিজ ৩০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ জানান, মাল্টিপারপাজ ইউজারের কথা বিবেচনা করে এই ফ্রিজের মডেল উদ্ভাবন করেছে ওয়ালটন। ১ থেকে ৪ জনের একটি ছোট পরিবার সাশ্রয়ী খরচে ব্যবহার করতে পারবেন এই মডেলের ফ্রিজ। পাশাপাশি ফার্মেসিতে ব্যবহারের জন্য এই ফ্রিজ খুব উপযুক্ত। ওষুধ সংরক্ষণের জন্য ফার্মেসিতে এই মডেলের ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

তিনি জানান, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের মার্কেট শেয়ার প্রায় ৭৫ শতাংশ। এ প্রেক্ষিতে এই অঞ্চলের বাজারে ব্যাপক পরিমান সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। এটিকে বলা চলে ওয়ালটনের সর্বোচ্চ রপ্তানিকৃত ফ্রিজের মডেল। তার প্রত্যাশা- স্থানীয় বাজারেও ক্রেতাদের কাছে হট কেকে পরিণত হবে ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ।

ওয়ালটন ফ্রিজের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের প্রধান আজমল ফেরদৌস বাপ্পী জানান, সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘সিলভার ক্লিন++’ প্রযুক্তি। যা ফ্রিজের খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করে। এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব জ৬০০ধ রেফ্রিজারেন্ট ও অপটিমাইজড কুলিং সার্কিট। ফলে এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ব্যাপক। এই মডেলটি বিশেষ ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। ফ্রিজের বডি স্ট্যান্ডে রয়েছে অনিয়ন ট্রে। এতে পেঁয়াজ, আলু সহজেই সংরক্ষণ করা যাবে। ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ইউএল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। ইউএল সার্টিফিকেট দ্বারা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করা হয়।

বাজারে বর্তমানে ওয়ালটনের রয়েছে ৪টিরও বেশি বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের ১০টির অধিক মডেলের সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ। এসব ফ্রিজের দাম পড়বে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টিসহ এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্টর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের গ্রাহকরা দেশব্যাপী ৮৩টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন।

বিজনেস আওয়ার/২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ওয়ালটনের নতুন চমক সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের ফ্রিজ

পোস্ট হয়েছে : ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : স্থানীয় বাজারে দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের নতুন চমক হচ্ছে এক দরজা বিশিষ্ট সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের রেফ্রিজারেটর। ছোট পরিবার থেকে শুরু করে ব্যাচেলর, ফার্মেসি, হাসপাতাল, হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, দোকনে ব্যবহার উপযোগি ওয়ালটনের এই মডেলের রেফ্রিজারেটর।

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে অত্যাধুনিক রেফ্রিজারেটর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে তৈরি করা হচ্ছে ৫০ লিটার থেকে ২২৫ লিটার পর্যন্ত বিভিন্ন ধারণক্ষমতার সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ। অন্যান্য মডেলের তুলনায় এই ফ্রিজের ব্যবহারযোগ্য জায়গা অনেক বেশি। এই ফ্রিজে নরমাল অংশ রয়েছে ৯০ শতাংশ এবং ডিপ অংশ ১০ শতাংশ। একই সাইজের রেগুলার ফ্রিজের তুলনায় ওয়ালটনের এই ফ্রিজ ৩০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ জানান, মাল্টিপারপাজ ইউজারের কথা বিবেচনা করে এই ফ্রিজের মডেল উদ্ভাবন করেছে ওয়ালটন। ১ থেকে ৪ জনের একটি ছোট পরিবার সাশ্রয়ী খরচে ব্যবহার করতে পারবেন এই মডেলের ফ্রিজ। পাশাপাশি ফার্মেসিতে ব্যবহারের জন্য এই ফ্রিজ খুব উপযুক্ত। ওষুধ সংরক্ষণের জন্য ফার্মেসিতে এই মডেলের ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

তিনি জানান, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের মার্কেট শেয়ার প্রায় ৭৫ শতাংশ। এ প্রেক্ষিতে এই অঞ্চলের বাজারে ব্যাপক পরিমান সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। এটিকে বলা চলে ওয়ালটনের সর্বোচ্চ রপ্তানিকৃত ফ্রিজের মডেল। তার প্রত্যাশা- স্থানীয় বাজারেও ক্রেতাদের কাছে হট কেকে পরিণত হবে ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ।

ওয়ালটন ফ্রিজের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের প্রধান আজমল ফেরদৌস বাপ্পী জানান, সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘সিলভার ক্লিন++’ প্রযুক্তি। যা ফ্রিজের খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করে। এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব জ৬০০ধ রেফ্রিজারেন্ট ও অপটিমাইজড কুলিং সার্কিট। ফলে এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ব্যাপক। এই মডেলটি বিশেষ ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। ফ্রিজের বডি স্ট্যান্ডে রয়েছে অনিয়ন ট্রে। এতে পেঁয়াজ, আলু সহজেই সংরক্ষণ করা যাবে। ওয়ালটন সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ইউএল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। ইউএল সার্টিফিকেট দ্বারা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সেফটি স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করা হয়।

বাজারে বর্তমানে ওয়ালটনের রয়েছে ৪টিরও বেশি বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের ১০টির অধিক মডেলের সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ। এসব ফ্রিজের দাম পড়বে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টিসহ এই ফ্রিজের কম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্টর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের গ্রাহকরা দেশব্যাপী ৮৩টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন।

বিজনেস আওয়ার/২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: