ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের দাবিতে দেবরের বাড়িতে ভাবির অনশন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
  • 7

বিজনেস আওয়ার প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামে অবিবাহিত প্রেমিক মিঠুনের (২১) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৩ দিন ধরে অনশন শেষে প্রবাসীর স্ত্রী ইতি আক্তার (২৫) নিরাশ হয়ে ফিরে গেলেন বাবার বাড়ি।

অনশনের ঘটনাটি রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমাঝোতায় গৃহবধূ ইতি ফিরে যেতে সম্মত হয়।

গৃহবধূ ইতির বাবা-মায়ের বাড়ি কুমিল্লার চাঁদপুর গ্রামে। তিনি জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে বসবাসকারী সৌদি প্রবাসী তরিকুলের স্ত্রী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের লালু মিয়ার ছেলে মিঠুন তার আপন চাচাত ভাই তরিকুলের স্ত্রী ইতি আক্তারের সাথে গোপন পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। ইতি আক্তারের দাম্পত্য জীবনে সাত বছর বয়সের একটি ছেলে ও পাঁচ বছর বয়সের এক মেয়ে সন্তানের মায়া ত্যাগ করে চাচাত দেবর মিঠুনের প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকে। এ অবস্থায় ইতি আক্তার বিয়ের দাবিতে রোববার দুপুরের দিকে মিঠুনের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। এ সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন প্রেমিক মিঠুনের পরিবার। অবস্থা বেগতিক দেখে মিঠুনও সটকে পড়েন।

গৃহবধু ইতি আক্তার বলেন, আমার স্বামী তরিকুল ইসলাম দুই বছর ধরে সৌদিতে রয়েছেন। ব্যাংকের কাজ ও অন্য কাজের সুবাদে মিঠুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ও বাজারঘাটে যাওয়া আসা হত। তারই সূত্র ধরে চাচাত দেবর মিঠুনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ দেড় বছর প্রেমের ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন বিয়ের জন্য তাকে মিঠুনের বাড়ি যেতে বলেন। আমি মিঠুনের কথামতোই রোববার দুপুরের দিকে মিঠুনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের কথা বললে মিঠুনের পরিবারের কেউ বিয়েতে রাজি হয় না। তবে মিঠুন বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা আমাদের মধ্যেকার সম্পর্ক মানতে নারাজ। এমন পরিস্থিতিতে আমি বিয়ের দাবিতে মিঠুনের বাড়িতে অনশন শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, মিঠুন তার বিয়ে করবে বলে তাকে বাড়িতে এনেছেন। এখন তার পরিবারে লোকজন তাকে অন্যস্থানে সরিয়ে দিয়েছেন। তার সাথে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না।

অপরদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম রতন, মেয়ের বাবা ও ছেলে পরিবারে সদস্যরা বিষয়টি মীমাংসা করেন বলে জানা যায়।

উথলী ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। মেয়ে তার আগের সংসারে ফিরে যাবেন। এখান থেকে তার বাবার জিম্মায় সন্ধ্যার পর তার বাবার কুমিল্লার চাঁদপুরে চলে গেছেন।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবিদ হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজনেস আওয়ার/১১ অক্টোবর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিয়ের দাবিতে দেবরের বাড়িতে ভাবির অনশন

পোস্ট হয়েছে : ০৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামে অবিবাহিত প্রেমিক মিঠুনের (২১) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৩ দিন ধরে অনশন শেষে প্রবাসীর স্ত্রী ইতি আক্তার (২৫) নিরাশ হয়ে ফিরে গেলেন বাবার বাড়ি।

অনশনের ঘটনাটি রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমাঝোতায় গৃহবধূ ইতি ফিরে যেতে সম্মত হয়।

গৃহবধূ ইতির বাবা-মায়ের বাড়ি কুমিল্লার চাঁদপুর গ্রামে। তিনি জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে বসবাসকারী সৌদি প্রবাসী তরিকুলের স্ত্রী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের লালু মিয়ার ছেলে মিঠুন তার আপন চাচাত ভাই তরিকুলের স্ত্রী ইতি আক্তারের সাথে গোপন পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। ইতি আক্তারের দাম্পত্য জীবনে সাত বছর বয়সের একটি ছেলে ও পাঁচ বছর বয়সের এক মেয়ে সন্তানের মায়া ত্যাগ করে চাচাত দেবর মিঠুনের প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকে। এ অবস্থায় ইতি আক্তার বিয়ের দাবিতে রোববার দুপুরের দিকে মিঠুনের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। এ সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন প্রেমিক মিঠুনের পরিবার। অবস্থা বেগতিক দেখে মিঠুনও সটকে পড়েন।

গৃহবধু ইতি আক্তার বলেন, আমার স্বামী তরিকুল ইসলাম দুই বছর ধরে সৌদিতে রয়েছেন। ব্যাংকের কাজ ও অন্য কাজের সুবাদে মিঠুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ও বাজারঘাটে যাওয়া আসা হত। তারই সূত্র ধরে চাচাত দেবর মিঠুনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ দেড় বছর প্রেমের ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন বিয়ের জন্য তাকে মিঠুনের বাড়ি যেতে বলেন। আমি মিঠুনের কথামতোই রোববার দুপুরের দিকে মিঠুনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের কথা বললে মিঠুনের পরিবারের কেউ বিয়েতে রাজি হয় না। তবে মিঠুন বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা আমাদের মধ্যেকার সম্পর্ক মানতে নারাজ। এমন পরিস্থিতিতে আমি বিয়ের দাবিতে মিঠুনের বাড়িতে অনশন শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, মিঠুন তার বিয়ে করবে বলে তাকে বাড়িতে এনেছেন। এখন তার পরিবারে লোকজন তাকে অন্যস্থানে সরিয়ে দিয়েছেন। তার সাথে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না।

অপরদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম রতন, মেয়ের বাবা ও ছেলে পরিবারে সদস্যরা বিষয়টি মীমাংসা করেন বলে জানা যায়।

উথলী ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। মেয়ে তার আগের সংসারে ফিরে যাবেন। এখান থেকে তার বাবার জিম্মায় সন্ধ্যার পর তার বাবার কুমিল্লার চাঁদপুরে চলে গেছেন।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবিদ হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজনেস আওয়ার/১১ অক্টোবর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: